ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

উপাচার্য পদত্যাগের অপেক্ষায় জাবি শিক্ষকরা

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১২
উপাচার্য পদত্যাগের অপেক্ষায় জাবি শিক্ষকরা

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

শনিবার আন্দোলনকারী ‘শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারের শিক্ষকরা সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রতি বিশ্বাস রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্যকে সরানোর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান।



উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আমরণ অনশনসহ নানা কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে যাওয়ায় ৩ মে উপাচার্য বিরোধী ও উপাচার্যসহ তার সমর্থক শিক্ষকদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি আন্দোলনকারী উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের সংকট সমাধানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

তার ২ দিন পর ৬ মে শিক্ষার্থীরাও আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে আন্দোলন স্থগিত করেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ১০ দিন পার হলেও উপাচার্য পদত্যাগ না করায় শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এক মাস গ্রীষ্মকালীন বন্ধে অফিস চালুর প্রথম দিনেই শনিবার দুপুর ১২টায় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে সাধারণ সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

সাধারণ সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন ও সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দীন, শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক এমএ মতিন, অধ্যাপক শামছুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘অনেক সময় পার হলেও উপাচার্য পদত্যাগ না করায় আমরা উদ্বিগ্ন! আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখছি। আশা করি, তিনি আমাদের হতাশ করবেন না। ’

‘শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘সরকার গত সপ্তাহে নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে সরকার উপাচার্যর পদত্যাগের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ, টেন্ডার এবং গুরুত্বপূর্ণ কোনো নীতি গ্রহণ না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সরকারকে আমরা জানিয়েছি। ’

তবে গ্রীষ্মকালীন বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী নেই। বন্ধের মধ্যেই উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে ফিরে এসে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলে ‘জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট’-এর নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।