ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

দেশসেরার মুকুট রাজউকের

মফিজুল সাদিক ,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১২
দেশসেরার মুকুট রাজউকের

ঢাকা : হাসি-আনন্দ আর আনন্দাশ্রু মেশা উল্লাসে ভাসছে রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ। কারণ, এসএসসি পরীক্ষা-২০১২ এর ফলাফলে দেশ সেরার মুকুট পরেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।



রাজউক থেকে এবার ৪১২ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৬ জন।

বিজ্ঞান বিভাগে ৩৭০ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪২ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৯ জন।

বাংলা মাধ্যম (প্রভাতী ও দিবা) বিজ্ঞান বিভাগে ২৭৭ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭৪ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন।

ইংরেজি মাধ্যম বিজ্ঞান বিভাগে ৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ জন। ব্যবসায় বিভাগে ৯ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জনই। এ কলেজে প্রাপ্ত জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ৯৮.৫৮ ভাগ এবং পাশের হার শত ভাগ।

এসএসসি পরীক্ষা ২০১২ এর ফলাফলের ভিত্তিতে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ১ম স্থান অধিকার করেছে। উল্লেখ্য, গত বছরও এ কলেজ দেশসেরা হবার গৌরব অর্জন করেছিল।

ভাল ফলাফলের কারণ উল্লেখ করে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম হোসেন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ``আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় আমরা পর পর দুইবার দেশসেরা হবার গৌরব অর্জন করলাম। আমাদের সাফল্য আমরা ধরে রেখেছি। ``

``সামনের দিনগুলোতেও আমাদের এই সাফল্য আমরা ধরে রাখতে পারবো``--এ আশাবাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি কেক কাটেন।

হাসি-আনন্দ-উল্লাসে ভাসছে ক্যম্পাস
হাসি-আনন্দ আর আনন্দাশ্রু মেশা উল্লাসে ভাসছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ক্যাম্পাস। সফল মেধাবীদের কেউ বাদ্য হাতে কেউ বা তুড়ি বাজিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন শিক্ষক আর অভিভাবকরা।

ইংরেজি মাধ্যম বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া সাদিয়া রাইসা বলল, ``পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের পরিশ্রমের ফসল আমাদের এই ভাল ফলাফল। এরপরে ভাল রেজাল্ট করে বুয়েটে ভর্তি হওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ``

আনন্দ যে শুধু হাসির মাধ্যমে প্রকাশ পায় না, কান্নার মাধ্যমেও প্রকাশ পায়- সেটি প্রমাণ করল ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্রী সানজিদা হোসাইন লামিয়া। তার চোখে জল আর মুখে হাসি। অনাবিল আনন্দে ঝিলমিলিয়ে উঠে বাংলানিউজকে বলল, ``জীবনে প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। তাই ভালো ফলাফলে কী খুশি যে লাগছে তা মুখে প্রকাশ করতে পারব না। আল্লাহ, পিতা-মাতা আর শিক্ষকদের সাহায্যে আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। ``

শুধু ছাত্র-শিক্ষক নয়, আনন্দ ভাগাভাগি করছেন অভিভাবকরাও। সন্তানের ভাল ফলাফলের আনন্দে অনেকে কাঁদছেনও। তেমনি একজন অভিভাবক আয়শা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ``বাচ্চাকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই কলেজে নিয়ে এসেছি যার কারণে আমরা সার্থক হয়েছি। ``

বাংলাদেশ সময় : ১৭০২ ঘণ্টা, ৭ মে, ২০১২
সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর
[email protected];

জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর 

[email protected]
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।