ঢাকা, সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

ঢাবিতে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ পুনঃস্থাপন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৬, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
ঢাবিতে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ পুনঃস্থাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সাম্প্রতিক সেন্সরশিপ ও নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে স্থাপন করা রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার পর সেটির ভাঙা অংশ পুনরায় স্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ ভাস্কর্য স্থাপন চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী।

প্রথমবার স্পষ্ট কোনো দাবি জানানো না হলেও এইবার ভাস্কর্যের পাশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সব ধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ করার দাবি সংবলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশেই আরেকটি ব্যানারে লেখা হয়েছে ‘তোমার পুজোর ছলে তোমায় ভুলে থাকি’।

এ বিষয়ে ভাস্কর্য স্থাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী শিমুল কুম্ভকার ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, আমরা সব ধরনের সেন্সরশিপের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছিলাম‌। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্যটি সরিয়ে দিয়ে প্রমাণ করেছে এই প্রশাসন মানুষের বাক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায় না, পছন্দ‌ও করে না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ন্যক্কারজনক কাজ দেখানোর জন্য ভাস্কর্যটি পুনরায় স্থাপন করেছি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমরা এখানে কোন স্থায়ী ভাস্কর্য স্থাপন করিনি। এটা একটা প্রতিবাদ মূলক ভাস্কর্য ছিল
অল্প কয়েকদিনের জন্য। আমরা চেয়েছিলাম বইমেলা যতদিন চলবে ততদিন আমাদের প্রতিবাদী ভাস্কর্যটি রাখার জন্য। যেহেতু এটা একটা প্রতিবাদমূলক কাজ তাই আমরা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। কারণ পৃথিবীতে প্রতিবাদ করার জন্য কারো কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাস্কর্যটি আবারও সরিয়ে ফেললে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত পরবর্তী পরিকল্পনা কী হবে সেটা নির্ধারণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করব।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।