ঢাকা, সোমবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবি শিক্ষার্থীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার চালুর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে অবস্থান করছেন এইসএসসি ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে অবস্থান কর্মসূচির আগে ওই প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।



এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দাবি জানাচ্ছি আমরা। এটা আমাদের একটি যৌক্তিক দাবি, সুযোগ চাওয়া কিন্তু কোনো অন্যায় নয়। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একবার সুযোগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর দয়া করার মতো। কিন্তু শিক্ষা তো কোনো দয়ার বিষয় না!

নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু আলভী মাহমুদ বলেন, আমাদের উচ্চশিক্ষা বিস্তৃত করা দরকার। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষাকে বিস্তৃত না করে সংকুচিত করছে। এগুলো আমাদের জন্য অবিচার করা হচ্ছে, অন্যায় করা হচ্ছে, আমাদেরকে ঠোকানো হচ্ছে। মানুষ একবার হেরে গেলে তাকে সুযোগ দিতে হয়। তাহলে সে আবার চেষ্টা করতে পারবেন। কিন্তু এখানে সুযোগ দেওয়া হয় না। এখানে মূল্যহীন বস্তুর মতো একবারেই থামিয়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ সানি বলেন, ২০১৪ সালের আগে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না থাকতো তাহলে অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেই মেধাবী শিক্ষকরা থাকতেন না, অক্সফোর্ডে সুযোগ পেতেন না, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হতে পারতো না। যারা ২য়বার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিলেন। সুযোগ থাকলে যে অমেধাবীরা ভর্তি হবেন এমনটা তো নয়। পরীক্ষা দিয়ে মেধা যাচাই করেই তো নেবেন, মেধাবীরাই তো সুযোগ পাবেন, তাহলে সমস্যা কোথায়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছু দিন আগে ২য়বার ভর্তির বিষয়ে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষরা বিবেচনা করেন। তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্মারকলিপি জমা নেয়নি।

তারা বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নামে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায় অবিচার করা হচ্ছে। জনগণের টাকায় চালিত প্রতিষ্ঠানগুলো আজ জনগণের থেকেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এটা তার বক্তব্য কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যদি অন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যদি পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। তাহলে দেশের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করবে।  সেক্ষেত্রেও কী হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না! আমরা এ বিষয়ে যথাযথ সমাধান চাইছি এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবি জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।