ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ সেভেন সিস্টার্সে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী: বাণিজ্যমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
বাংলাদেশ সেভেন সিস্টার্সে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী: বাণিজ্যমন্ত্রী 

ঢাকা: ভারতের আসামসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর  সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিযোগ বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশর ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র এবং উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার।

বাংলাদেশের তৈরি অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে সেভেন সিস্টার্স খ্যাত এসব অঞ্চলে। বাংলাদেশ এসব অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।  

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারির নেতৃত্বে ঢাকায় আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। রোববার (২০ নভেম্বর) ঢাকার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে ৩০ লাখই নারী কর্মী। তৈরি পোশাকের অনেক কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। আসাম বাংলাদেশের দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়ে তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, সিরামিক, জামদানিসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য ভারতে জনপ্রিয়।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের পণ্য ভারতের আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ আশা করছে, ভারতের আসামসহ সেভেন সিস্টারখ্যাত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে। এ জন্য উভয় দেশের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। উভয় দেশের সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো সম্ভব।

সফররত ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, বড় বড় প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল, আগামীতে সেভাবে থাকবে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে ভারত সরকার খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলবন্দর রয়েছে, এগুলো দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। পানিপথেও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তৈরি পোশাক কারখানা ও দক্ষ জনবল তৈরিতে আসাম রাজ্য বাংলাদেশের সহযোগিতা আশা করছে। আগামীতে আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে।

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারির নেতৃত্বে আসাম রাজ্য সরকারের বিধানসভার ৩৩ জন বিধায়কসহ ৬২ জন সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ঘণ্টা, নভেম্বর ২১,২০২২
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad