ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চলতি সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে

স্টাফ করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১০

ঢাকাঃ মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে (২০ থেকে ২৪ জুন) ৭ হাজার ৩৮৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এ সময়ে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকার।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে (১৩-১৭ জুন) একই সময়ে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ওই সময়ে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয় ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন ৩ হাজার ৪১১ কোটি টাকা এবং গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২ দিন রেকর্ড লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৪ জুন ডিএসইতে ২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা এবং ১৬ জুন ২ হাজার ৪৮৬ হাজার কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া বাকি ৩ কার্যদিবসের লেনদেনও ছিল চোখে পড়ার মতো।

কিন্তু চলতি সপ্তাহে লেনদেন উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। লেনদেন কমে যাওয়ার জন্য বাজার বিশ্লেষক ও অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তাদের  আমানতের ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ না করার নির্দেশ এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির মার্জিন লোনের ক্ষেত্রে পিই অনুপাত ৫০ থেকে ৪০ এ কমিয়ে আনা।

 এছাড়া চলতি সপ্তাহে ৪ দিনই বাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন কমিয়ে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার জারির পর থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। এতোদিন কোনো কোনো ব্যাংক আমানতের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ  করেছে। এছাড়াও মার্জিন লোনের ক্ষেত্রে পিই অনুপাত সর্বোচ্চ ৪০ নির্ধারণ করে দেওয়াও লেনদেন কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ।

মহসিন নামের একজন বিনিয়োগকারী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে বলেন, মন্দা বাজারে বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে কম শেয়ার লেনদেন করে। চলতি সপ্তাহে ৪ দিনই বাজারে বড় ধরনের দনপতন হয়েছে। ফলে বাজারে লেনদেন কমে গেছে।  
 
চলতি সপ্তাহে আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি শেয়ার লেনদেন, সব সূচক, বাজার মূলধনও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন ৬ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার টি শেয়ার লেনদেন হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৫ কোটি  ২৭ লাখ ৬৯ হাজার টিতে নেমে আসে।


সপ্তাহের প্রথম দিন সাধারন সূচক ৬ হাজার ২৯৯ দশমিক ৭৪ হলেও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার তা ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৮৫ এ নেমে আসে।


এছাড়াও বাজার মূলধন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা থাকলেও শেষ দিন তা কমে ২ লাখ ৭১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা হয়।

বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ২০৩৫ঘণ্টা, জুন ২৫’ ২০১০
জিএস/এনএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।