ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে মুরগি-লবণের দাম, কমেছে ডালের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
বেড়েছে মুরগি-লবণের দাম, কমেছে ডালের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি, লবণ ও গুড়া দুধের দাম। অন্যদিকে কমেছে ইন্ডিয়ান মুসুরের ডালের দাম।

এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে আগের দমে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা  ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। ৮০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সাপ্লাই ও আমদানি ভাল থাকায় সবজির দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।
আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।  

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।  

এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হত ১১০ টাকায়। বেড়েছে লবণের দাম। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে লবণের কেজি ছিল ৩৫ টাকা।  

এছাড়াও বাজারে বেড়েছে গুড়া দুধের দাম। আধা কেজি গুড়া দুধের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ টাকায়। সপ্তাহ আগে আধা কেজি বিক্রি হত ৪০০ টাকায়।

বাজারে ৭ টাকা বৃদ্ধির নতুন দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ১৯৫ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. নাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি শুরু হয়েছে বাজারে। তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ১৯৫ টাকায়। এছাড়াও বাজারে দাম বেড়েছে ময়দা, লবণ ও গুড়া দুধের। কমেছে ইন্ডিয়ান মুসুরির ডালের দাম। বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এসব বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।  

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। একদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, মুরগির উৎপাদন ও সাপ্লাই কম থাকায় দাম বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সোনালি মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
এমএমআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।