ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শুঁটকি পল্লী কাট্টলী বিল

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
শুঁটকি পল্লী কাট্টলী বিল

খাগড়াছড়ি: চারিদিকে পানি আর পানি। নৌকা বা ইঞ্জিনচালিত বোট একমাত্র যাতায়াতের ভরসা।

এই নৌকা বা বোট না থাকলে কেউ কোথাও যেতে চাইলেও সুযোগ নেই যাওয়ার। রাঙ্গামাটির জেলার লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিল বাজার এটি।

শুঁটকি পল্লী নামে খ্যাত কাট্টলী বিল বাজার। ছোট্ট একটি বাজার চারিদিকে কাপ্তাই বাঁধের পানি থৈ থৈ। এই এলাকার লোকদের একমাত্র জীবিকা মাছ ধরা।

বলতে গেলে ছোট্ট একটা দ্বীপ। এখানে ছোট্ট একটি বাজার আর কয়েক পরিবার জেলের বসবাস। এখানকার জেলেরা যে পরিমাণ মাছ ধরে সেই মাছ কেনার মতো লোকসংখ্যা নেই এই এলাকায়। ফলে তারা মাছগুলো তাজা বিক্রি না করে শুকিয়ে শুঁটকি বানিয়ে বিক্রি করেন।

এই শুঁটকিগুলো শুকাতে কোনো ধরনের কেমিক্যাল বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়না বলে জানান স্থানীয় জেলেরা। তবে শুঁটকিগুলো তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন না। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যান। এখানে চাপিলা, শৈল, গজাল, রুই, কাতলা, কালিগুন্ন্যসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুঁটকি পাওয়া। চারিদিকে পানি থাকার কারণে এখানে সারা বছর মাছ পাওয়া যায়।

তবে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি থেকে এখানে বেড়াতে আসা স্থানীয় পর্যটকেরা বলেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যদি এই শুঁটকিগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়, এখানকার স্থানীয় লোকজন উপকৃত হবে। আর পাবে কেমিক্যাল ছাড়া ভালো মানের শুঁটকি।

স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এখানে সবাই কৃষক। মাছ ধরে আমাদের সংসার চলে। এছাড়া অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। কেমিক্যাল ছাড়া আমরা শুঁটকি তৈরি করি। তবে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারছিনা।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিল বাজার হয়ে হয়ে উঠতে পারে একটি দেশের বৃহৎ শুঁটকি পল্লী। হতে পারে একটি অর্থনৈতিক জোন। তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
এডি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।