ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জামালপুরে অস্থির বাজার, উধাও সয়াবিন তেল! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
জামালপুরে অস্থির বাজার, উধাও সয়াবিন তেল! 

জামালপুর: জামালপুরে অস্থির কাঁচাবাজার। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেয়াজ ২০ টাকা বেড়ে এখন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজার থেকে উধাও হয়েছে সয়াবিন তেল। বাজারে নেই সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল। এদিকে প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৮০ টাকা।

জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ কাঁচাবাজার ঘুরে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ডিলাররাই তাদের চাহিদা মত সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। ফলে বেশি দামে তেল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া নির্ধারিত ‍মূল্যের চেয়ে ১৫ টাকা বেশি দিয়ে তেল কিনতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।

এদিকে দাম বেড়েছে সব ধরনের কাঁচা সবজির। বাজারে চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি বেগুন ছিল ৩০ টাকা। সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। টমেটো ১৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে বেড়ে ৪০, পেঁয়াজ (দেশি) ৫০ থেকে বেড়ে ৭০, পেঁয়াজ (ভারতীয়) ৩৫ থেকে বেড়ে ৫০, শিমের দাম প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৫০, কাঁচামরিচ ৪০টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রকারভেদে প্রতিকেজি আলুর দাম ১২-১৫ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ১৪ থেকে ১৮ টাকা।

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ১ লিটার বোতলজাতসয়াবিন তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৯০ টাকার মসুর ডাল বেড়েহয়েছে ১০০ টাকা, চিনি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সরষের তেল ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা, জিরা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, আটা ৩৫ থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকায় ও সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৬০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২০–৬৫০ টাকা। বাড়তি এই খরচ মেটাতে গিয়ে সীমিত আয়ের অনেক মানুষ নানা উপায় বেছে নিয়েছেন।

এদিকে বাজারের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতেও নেই কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা। নেই বাজার মনিটরিং সদস্যদের উপস্থিতি।

ইসলামপুর বাজারে আসা সফিকুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম, আকলিমা পারভীনসহ অনেক ক্রেতাই জানান, দ্রব্যমূল্য এভাবে বেড়ে আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুর্শেদা জামানকে একাধিকবার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।