ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফরিদপুরে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
ফরিদপুরে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম 

ফরিদপুর: ফরিদপুরে কাচাঁবাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব রকম সবজি।

বাজারে সবজির এরকম চড়া দামের কারণে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।

ফরিদপুরে এক কেজি কাঁচামরিচ বর্তমানে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও কমেনি পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ প্রতি কেজি আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে।

বাঁধাকপি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সিম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ফুলকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। আলু প্রতি কেজি নতুন ৬০ টাকা। এক পাল্লা ৩শ টাকা। পুরাতন আলু প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা এক পাল্লা (৫ কেজি) ১০০ টাকা। আবার খুচরা ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। টমেটো কাঁচা প্রতিকেজি ৪০ টাকা পাকা (মেডিসিনযুক্ত) টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা। আদা প্রতি কেজি ৫৫ টাকা থেকে  ৬০ টাকা। করল্লা এক কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এই দর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

অপরদিকে ফরিদপুর শরীয়তুল্লা বাজার এলাকার ব্রিজের ওপর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটি রাত্রিকালীন বাজার বসে এই বাজারে যে সব তরি-তরকারি উঠে তার দাম সব বাজারের চেয়ে অর্ধেক।

এই বিষয়ে ব্রিজ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রহিম, রহমান মালেক তোরাব আলী বাংলানিউজকে জানান, সকালে আড়তদারি ব্যবসায়ীরা ছোট বড় মূল ব্যবসায়ীদের কাছে ডোপ ভর্তি অথবা বস্তা ভর্তি যে কাঁচামাল বিক্রি করে তার দাম চড়া থাকে।

আবার বিকেল ৫টার পর ব্রিজের ওপর এবং ফুটপাতের ওপর যারা ব্যবসা করেন তারা আড়তদারদের অবিক্রীত কাঁচামাল কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করায় সকাল ও বিকেল বাজার মূল্যের এই পাথ।  

অপরদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক কেজি ওজনের ইলিশ ৭শ টাকা, রুই ৩০০ টাকা কাতল ৩৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, পোয়া মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, তপোসি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, কোড়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, বাইন বড় প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চিতল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, কই দেশি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী হাজী শরীয়তুল্লা বাজার, টেপাখেলা বেলতলা বাজার, টেপাখোলা লেকপাড় বাজার, হেলিপ্যাড বাজার, সিএন্ডবি ঘাট বাজার অম্বিকাপুর বাজার, হারোকান্দি বাজার এলাকার উল্লেখিত কাঁচামাল ও মাছ বাজারের দাম একইরকম দেখা গেছে। তবে বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকার কারণে এক বাজারের সঙ্গে অন্য বাজারের দামের মিল নাই।  

এ বিষয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় শরীয়তুল্লা বাজার ব্যবস্হাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর কমিশনার হাজী নুর ইসলাম মোল্যার। তিনি বলেন, কাঁচাবাজারের দাম কখনই এক রকম থাকে না। কাঁচামাল বেশি আমদানি হলে দাম একটু কম হয়। আবার আমদানি কম হলে দাম একটু বাড়তি থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।