ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু, সাগরে যেতে প্রস্তুত ভোলার ৬৩ হাজার জেলে

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু, সাগরে যেতে প্রস্তুত ভোলার ৬৩ হাজার জেলে মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাগরে মাছ শিকারে নামবেন ভোলার জেলেরা। তাই জাল ও ফিশিং বোর্টসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত  থেকে সাগরে মাছ শিকারে যাবেন। মাছ ধরাকে কেন্দ্রে করেই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন তারা। এতে সরগরম হয়ে উঠবে মাছের আড়ৎগুলো।

ইলিশ শিকার করে গত ২ মাসের ধার-দেনা পরিশোধের পাশাপাশি ক্ষতি পুশিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলেও আশাবাদী জেলেরা।

সাগর উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে জাল প্রস্তুতের পাশাপাশি ফিশিং বোর্ট মেরামত করছেন জেলেরা। মাছ ধরার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, উপকরণ এবং খাদ্য সামগ্রী ট্রলারে তুলছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার নতুন করে জাল  করছেন।

লালমোহন উপজেলার বাতির খাল মৎস্য ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি ফিশিং বোর্ট ঘাটে নোঙ্গর দেওয়া। সাগর উপকূলে জেলেরা ওইসব ফিশিং বোর্টে জাল তুলছেন। কেউবা জাল বুনছেন। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। ট্রলার প্রস্তুতে ব্যস্ততায় কাটছে তাদের সময়।

বাতির খাল এলাকার জেলে ওসমান মাঝি বলেন, গত দুই মাস সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ছিল, আমরা কেউ মাছ শিকারে যাইনি। ধার-দেনা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কস্টে দিন কাটিয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ তাই সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের ফিশিং বোর্টে ১৮ জন জেলে রয়েছে। সবাই মাছ শিকারে যেতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

আ. বারেক বলেন, ১৫ বছর ধরে সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকে সেই নিয়মটি আমরা মেনে চলি। এবারও মেনে চলেছি। এতে আমাদের অনেক কস্টে দিন কাটাতে হয়েছে। আশা করি কাঙ্খিত পরিমাণ মাছ পেলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।

একই কথা জানালেন মাকসুদ, সালাউদ্দিন ও হানিফসহ অন্যরা। তারা জানান, বেকার সময় কাটানোর পর এখন আমরা সাগরে যাবো। ঘাটগুলোও জমে উঠবে। অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তা কাটিয়ে তারা ঘুরে দাঁড়াবেন বলে আশাবাদী।

সুত্র জানিয়েছে, সাগরে মাছ ধরেন জেলায় এমন নিবন্ধিত  জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। এদের মধ্যে সদরে ৩ হাজার ৬৯৮ জন, বোরহানউদ্দিনে ৭ হাজার ৬৫০ জন, দৌলতখানে ১১ হাজার ৫৫০ জন, লালমোজনে ৮ হাজার ৮০৪ জন, তজুমদ্দিনে ৪ হাজার ৫০৬ জন, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭ হাজার ৫৬১ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১০ হাজার ১৮৫ জন। এর বাইরেও অনেক জেলে রয়েছেন। তারাও মাছ শিকার যাবার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

জেলে মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ। এখন আর জেলেদের মাছ শিকারে যেতে বাধা নেই। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের চাল দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সাগরে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরা গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।