ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘নলেজ ইকোনমি’ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
‘নলেজ ইকোনমি’ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে 

ঢাকা: ‘নলেজ ইকোনমি’ বা ‘মেধাস্বত্ব অর্থনীতি’ আগামী দিনে উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।  

তিনি বলেন, টেকনোলজি সফটওয়্যার আগামী দিনে পণ্যের মান ও দাম বাড়াবে।

মেধাভিত্তিক যে শিল্প আছে এগুলো আয় অন্যান্য শিল্প আয় থেকে ৬৬ শতাংশ বেশি। আমরা যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলছি, এটি তার আসল চেহারা বলে তিনি জানান।

শনিবার (১০ জুলাই) সকালে 'ডব্লিউটিও কর্তৃক ট্রিপস চুক্তির এলডিসি সংক্রান্ত ধারা সংশোধন: গ্র্যাজুয়েটিং বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্য' শীর্ষক সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ট্রিপসের যে চুক্তিটি আছে। বাণিজ্য সংক্রান্ত ও মেধাসম্পন্ন যে চুক্তি ডব্লিউটিওতে আছে সেটার একটা সংশোধন হয়েছে এবং এই সংশোধনের যে তাৎপর্যপূর্ণ বা ব্যাখ্যাগুলো এসেছে তার সঙ্গে যথেষ্ট সন্তুষ্টি না থাকায় আজকের এই আলোচনা নিয়ে এসেছি। এটা বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের মেধাস্বত্ব সম্পর্কিত, বিশেষ করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এলডিসি পর্যায় থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী মধ্য আয়ের দেশ হতে হলে যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, মেধাস্বত্বকে উন্নয়নের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করবো।

তিনি বলেন, মেধাস্বত্ব সম্পর্কিত যে চুক্তিটি আছে ডব্লিউটিওতে, সেটি ৬৬.১ ধারায় ১৯৯৫ থেকে ৩ ধারায় এটা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। এটি প্রথম ১০ বছর পরে আরো দুবার সময়টা বর্ধিত করে ১ জুলাই এটা শেষ হওয়ার কথা ছিল। ১ জুলাইকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ডব্লিউটিওর সদস্য দেশগুলো বড় ধরনের আলোচনায় যুক্ত হয় এবং শেষমেষ ২৯ জুন এটাকে ১৩ বছরের জন্য সময় বর্ধিত করা হয়। এই সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা থেকে বাংলাদেশ অনেক উপকৃত হয়েছে। তবে এটা অনেকের উপলব্ধি হয়নি।  

তিনি আরো বলেন, সরকার আগামী দিনে যে সকল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে এগুলোতে অবধারিতভাবে মেধাসত্ত্ব চুক্তি থাকবে। মেধাসত্ত্ব চুক্তিবাদ দিয়ে আগামীতে কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

দেবপ্রিয় বলেন, কোভিডের যে ওয়েভারটা আসছে এর সুবিধাটা বাংলাদেশের নেওয়া উচিত। আগামী তিন বছর মেধাস্বত্ব বাণিজ্য চুক্তিতে একটা ছাড় পাওয়া যাবে এটাকে কাজে লাগাতে হবে। এই ছাড়টা বিভিন্ন স্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদনে এবং নলেজ টেকনোলজিতে ছাড় দিতে হবে। তবে আমাদের দেশে কোভিড ওয়েভার নিয়েও খুব বেশি আলোচনা নেই। তাই সরকারের উচিত হবে এবিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
এসএমএকে/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।