ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

হালাল ফুড উৎপাদনে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
হালাল ফুড উৎপাদনে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশ যৌথভাবে হালাল ফুড উৎপাদনে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ হালাল ফুড উৎপাদন করতে সক্ষম।

এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের নতুন প্রযুক্তি ও সহযোগিতা হালাল ফুড উৎপাদনে সহায়ক হবে। এছাড়া মিউচ্যুয়াল রিকগনিশন, সার্টিফিকেশন ও কোয়ালিটি নিশ্চিত করে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হালাল পণ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ‘স্পট লাইট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ভার্চ্যুয়ালি স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার পর সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড মিনিস্টার ইন চার্জ অব ট্রেড রিলেশনস এস ইসওয়ারান এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় তিনি একথা বলেন। এসময় সিঙ্গাপুরের ট্রেড রিলেশনস মিনিস্টার যৌথভাবে বাংলাদেশে হালাল ফুড উৎপাদন, বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে কাজ করছে। বিশ্ববাজারে হালাল ফুডের একটি বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রায় ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হালাল পণ্যের বাজার সৃষ্টি হতে পারে।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্সে বিশ্বে যে ২০ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ তার একটি। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) দেশে বিনিয়োগ সহজ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছে।  

তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রপ্তানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের অফিস, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সেবা ডিজিটাল করা হয়েছে। সেখানে অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।  

টিপু মুনশি বলেন, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশের মধ্যে নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পটুয়াখালীতে নতুন আধুনিক পায়রা সমুদ্র বন্দর চালু করেছে, মোংলা সমুদ্র বন্দরকে আধুনিক করা হয়েছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে এবং চট্টগ্রামের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে।

অনুষ্ঠানে আরও উদ্বোধনী দেন সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড মিনিস্টার ইন চার্জ অফ ট্রেড রিলেশনস এস ইসওয়ারান এবং এসবিএফ দক্ষিণ এশিয়া বিজনেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান প্রসন মুখার্জি। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।  

ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মিসেস আয়সা আজিজ খান, সাউথ এশিয়া অ্যান্ড মিডিল ইস্ট পিএসএ-এর রিজিওনাল সিইও ওয়ান সি ফং, মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বার আসিফ ইকবাল, গ্রামীণ ফোন এক্সেলেটর এর প্রধান মিনহাজ আনোয়ার।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।