ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি পণ্য বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
রপ্তানি পণ্য বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে সেক্টরগুলোকে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় একশত মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, স্থাপিত টেকনোলজি সেন্টরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।

শনিবার (১৯ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুড্স ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং  সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় অনলাইনে চার দিনব্যাপী ‘১৫তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ার-২০২১’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে প্লাস্টিক সেক্টরকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। দেশের বর্তমান রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ ভাগ দখল করে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত, এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকার দেশের রপ্তানি পণ্যসংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি এবং ফার্মাসিটিক্যাল সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি নীতি প্রনয়ণ করেছে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প, দ্রুত এ শিল্পের প্রসার ঘটছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রতিযোগিতা করে বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে বাণিজ্যবান্ধব বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ার (আইপিএফ) অনলাইন এক্সপো আগামী ৫ থেকে চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। এক্সপোতে ১৯টি দেশের প্রায় ৪৮৩টি প্লাস্টিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, চায়না, ইজিপ্ট, ইথিওপিয়া, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরষ্ক, সংযুক্ত আরব আমীরাত এবং ভিয়েতনাম। দর্শনার্থীরা অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলায় প্রদর্শিত সব পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন এবং  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুড্স ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।