ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অ্যাপের মাধ্যমে খুলনায় চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
অ্যাপের মাধ্যমে খুলনায় চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

ঢাকা: খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস’র মাধ্যমে খুলনায় সরকারি চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবরা (১২ মে) ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।



এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহে ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কোনোভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না। ইতোমধ্যেই ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রতিটি জেলার খাদ্য অফিসে পাঠানো হয়েছে। এ বছর কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। চালের মান নিয়ে কোনো আপোষ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চালের মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।  

তিনি বলেন, ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস'র মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান এবং মিলাদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের ফলে একদিকে যেমন অল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে; অপরদিকে খাদ্য বিভাগ, কৃষক এবং মিলারদের মধ্যে দ্রুত সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে গতি আনয়ন করা সম্ভব হবে।

‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস’ যা গতবছর খুলনা জেলায় নির্বিঘ্নে সফলতার সঙ্গে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে চাল সংগ্রহে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। গত মৌসুমে খুলনা জেলায় 'ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপসে'র মাধ্যমে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।  

খুলনা জেলায় শত ভাগ চাল ক্রয় ডিজিটাল অ্যাপসের মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল উপায়ে চাল সংগ্রহ করায় তার প্রভাব পড়ে। ফলে এবা দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘ডিজিটাল অ্যাপস’ ব্যবহার করে চাল সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্ন নয়; এটা এখন বাস্তবতা। প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকও এখন এর সুবিধা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সরকারের সর্বশেষ নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম অঙ্গীকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতি আনায়ন করা সম্ভব।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুম অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, খুলনা জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা, খুলনা জেলার কৃষক ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।