ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে ২০৪ কোটি টাকার মৎস্য প্রাণিজ পণ্য বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২১
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে ২০৪ কোটি টাকার মৎস্য প্রাণিজ পণ্য বিক্রি

ঢাকা: চলমান ‘লকডাউনে’ জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করতে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে গত এক মাসে ২০৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।  

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ন্যায্যমূল্যে মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্যের বিক্রয় এ কার্যক্রম করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

বৃহস্পতিবার (৬ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, মৎস্য অধিদপ্তরের একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অপর একটি কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে দেশব্যাপী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। কন্ট্রোলরুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ৪ মে পর্যন্ত এক মাসে দেশের ৬৪টি জেলায় ৫৩ লাখ ৫ হাজার ২১৬ লিটার দুধ, ২ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার ৬৮১টি ডিম, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯১ কেজি গরুর মাংস, ৯৮ হাজার ৭২১ কেজি খাসির মাংস, ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ কেজি দেশি, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ৪ হাজার ১২৪ মেট্রিক টন মাছ এবং ৩ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৫ টাকার বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। গত এক মাসে সারাদেশে ১৭ হাজার ৯৫৪ টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে এলাকাভেদে প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায়, প্রতিটি ডিম ৬ টাকায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ টাকায়, প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১১৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় বিক্রয় হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি গত এক মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের মাছ অনলাইনে বিক্রয় হয়েছে।  

এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রান্তিক খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করেছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের অত্যাবশ্যকীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের এ কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।