ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের ছাড় নয়: মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২১
মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের ছাড় নয়: মন্ত্রী

ঢাকা: দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে মৎস্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (০৫ মে) রাজধানীর গুলশানে নৌ পুলিশ সদর দপ্তরে নৌ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির স্বার্থে যেভাবে যা করা দরকার, তা করবে সরকার। ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মাছের অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, বছরে ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ কর। জাটকা সংরক্ষণে বিশেষ কম্বিং অপারেশনসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় কার্প জাতীয় মা মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে মনটিরিংয়ের ব্যবস্থা এবং কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মে-জুলাই মাসে মাছ ধরা বন্ধ করা ও পোনা অবমুক্ত করাসহ ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনাসহ নানা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাছ ধরা বন্ধ থাকা কারে ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, একটা দেশের বড় সাফল্যের মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা কাজ করে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টনের ঊর্ধ্বে উপনীত হয়েছে। এ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ কাজে নৌ পুলিশকে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করা ব্যক্তি ও তাদের নেপথ্যে থাকা অবৈধ জাল উৎপাদকারী, ট্রলার মালিকসহ প্রভাবশালীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। এ কাজ তারা সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, নৌ পুলিশের উদ্যোগে ২০২০ সালে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পরিচালিত মৎস্য সংরক্ষণ কার্যক্রম, ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, চলতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান এবং হালদায় মা মাছের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়।

নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম ফেরদৌস আলম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিগণ ও পুলিশ সুপারগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।