ঢাকা: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় (আগস্ট) মাসে মোট ৩শ পাঁচ কোটি ৭৪ লাখ ডলার মূল্যের পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে। যা আগের মাসের (জুলাই) তুলনায় ৫৩ কোটি এবং গত অর্থবছরের আগস্টের তুলনায় প্রায় ৭৭ কোটি ডলার বেশি।
চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ২শ’ ৫২ কোটি ৬৮ লাখ এবং গত অর্থবছর (২০০৯-১০) আগস্টে ২শ’ ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের সমমূল্যের পণ্যের এলসি খোলা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য মাসে সবচেয়ে বেশি এলসি খোলা হয়েছে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য। এ খাতে মোট এলসি খোলা হয়েছে ২৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের। এরপরই রয়েছে পেট্রোলিয়াম-পণ্য, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স ও রাসায়নিক দ্রব্য।
পেট্রোলিয়াম-পণ্য আমদানিতে ২৬ কোটি ডলার, গার্মেন্টস ফেব্র্রিক্স খাতে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক দ্রব্য খাতে ২১ কোটি ২৩ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ খাতে ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, সূতা (ইয়ার্ন) আমদানিতে ১২ কোটি ২৬ লাখ ডলার, কাঁচা তুলা আমদানিতে ১১ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং চাল, গম, চিনি ও ভোজ্য তেল আমদানি খাতে এলসি খোলা হয়েছে যথাক্রমে ১২ কোটি ৯৭ লাখ, পাঁচ কোটি ৭৭ লাখ, নয় কোটি ১৫ লাখ ও নয় কোটি ৬৩ লাখ ডলারের। এছাড়া গুঁড়া দুধ আমদানির জন্য এক কোটি ৭৯ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
গত দুই মাসের এলসি স্থাপনার চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই (জুলাই-আগস্ট) মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট ৫শ’ ৫৮ কোটি ৪২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল ৪শ’ ৪১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০