ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালের দাম আর বাড়তে দেবো না: খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
চালের দাম আর বাড়তে দেবো না: খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে পেরেছি বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই দেশের বাজারে চালের দাম আর বাড়তে দেবো না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আসন্ন বোরো সংগ্রহ নিয়ে অনলাইনে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।  

বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য বিভ্রাট হলে তখন কিন্তু একটু সমস্যা হয়ে যায়। যখন দেখা যায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা তিন কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার টন। বিবিএসের রিপোর্টে যখন দেখা যায় উৎপাদন তিন কোটি ৬৬ হাজার টন। ২১ লাখ টন কম উৎপাদিত হয়েছে আম্পান ও চারবার বন্যার কারণে, সেই কারণে দাম বাড়াটা সম্ভব। সেটাকে মোকাবিলার জন্য আমাদের নানাবিধ পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে পেরেছি বলে আমরা বিশ্বাস কবি। চালের দাম আর বাড়তে দেবো না।

বাজারে দাম বেশি থাকলে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। এবার এ আশঙ্কা করছেন কিনা এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এখনও আমরা সেই আশঙ্কা করছি না। কারণ এখনও ফসল ভালো। কোনো প্রাকৃতিক দুযোগ যদি না হয়, ধান যদি তোলা যায়, এবার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

এবার বোরো ধান ও চালের কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ কতো জানতে চাইলে তিনি বলেন, একেক জায়গা থেকে একেক রকম এসেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক রকম, কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এক রকম। তবে সরকার যে সেচে, সারে প্রণোদনা দেয় তাতে আমি মনে করি উৎপাদন খরচ থেকে তাদের লাভবান করে এ রেট দেওয়া হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ছয় লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সেদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ও ২৭ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। গত বছর বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল ও ৩৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনা হয়েছিল। সেই হিসেবে এবার এক টাকা বেশি দরে ধান ও তিন টাকা কেজি দরে চাল কেনা হচ্ছে।

এবার ধানে গত বছরের চেয়ে এক টাকা ও চালে তিন টাকা বাড়ানো হলো, এটার মাধ্যমে কী কৃষকের প্রতি সদয় দৃষ্টি দেওয়া হলো। আপনি কী মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে ৬০ কেজি ধানে ৩৯ কেজি চাল হয়, সেই হিসেবে প্রতিকেজি ধানের দাম ২৭ টাকা হলে প্রতিকেজি চালের দাম হওয়ার কথা ৪২ টাকা কয়েক পয়সা। খুদ-কুড়ো বাদ দিয়ে আমরা দাম ৪০ টাকায় এনেছি। এর চেয়ে দাম বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম আরও বাড়বে। এতে আরও অস্থিরতা দেখা দেবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করি সঠিকভাবে আমরা ধান-চাল কিনতে পারবো, মাঠ পর্যায়ে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ে এ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে যে, কোনো কৃষক যাতে ধান নিয়ে এসে ফেরত না যায়। কোনো ঝামেলা না হয়। চালের মানের বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। সঠিকতা বজায় রেখে ৪০ শতাংশ আর্দ্রতার চাল ও ধান কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

** ৩০ এপ্রিলের পর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি বন্ধ: খাদ্যমন্ত্রী
** বোরো মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান কিনবে সরকার

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।