ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনায় প্রণোদনা প্যাকেজ সম্প্রসারণের পরামর্শ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
করোনায় প্রণোদনা প্যাকেজ সম্প্রসারণের পরামর্শ 

ঢাকা: কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সম্প্রসারণ, মেয়াদ বাড়ানো ও ট্যাক্স জিডিপির রেশিও বাড়াতে অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

তিনি বলেন, এখন যে সংকট আমাদের আছে, এটি কোনো একটি দেশের সংকট নয়, সারাবিশ্বের সংকট।

এই আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো।  

রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

অর্থনীতিবীদরা কী পরামর্শ দিয়েছেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইনসেনটিভ প্যাকেজের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে অর্থনীতিবিদরাও কথা বলেছেন। প্রণোদনা প্যাকেজ যারা পেয়েছেন তারা কাভার্ড হয়নি, তাদের কাভার করতে বলা হয়েছে। তারা এখনো তাদের যে অ্যালোকেশন গেছে সেটি বাড়াতে বলেছে। এটা সম্প্রসারিত এবং মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করবো, তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা আমাদের টিম নিয়ে বসবো, বসে এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তাদের পরামর্শগুলো এখনো আমাদের কাছে পারমর্শ হিসেবেই আছে।  

অর্থনীতিবিদরা ট্যাক্স, জিডিপির রেশিও বাড়াতে বলেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ট্যাক্স জিডিপির রেশিও কম। আমাদের প্রতিটি পণ্যে ট্যাক্স নিতে পারতাম, তাহলে আমাদের ট্যাক্সের রেশিও অনেক ভালো থাকতো। আমরা অনেক জায়গায় ট্যাক্স আদায় করি না। সরকারি মেগা প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পেও ট্যাক্স আদায় করি না। তবে কাগজে কলমে এটা আসা উচিত। প্রতিটা আইটেমের উপর ট্যাক্স আরোপ করলে ট্যাক্স জিডিপি বাড়বে কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রকল্পের খরচ বেড়ে যাবে, আবার মানুষের উপর চাপও পড়বে।  

সামনে কঠোর লকডাউনে হতদরিদ্রের জন্য কোনো চিন্তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বাজেট হবে আরো পরে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখেন। তার চিন্তা হলো দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা। এর জন্য যা প্রয়োজন তিনি তা অবশ্যই বিবেচনা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) চেয়ারম্যান ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা স্কুল অব্ ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমদ এফসিএ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।