ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘রমজানে ভেজাল-নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ রোধে কঠোর ব্যবস্থা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
‘রমজানে ভেজাল-নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ রোধে কঠোর ব্যবস্থা’

ঢাকা: রমজানে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ রোধে সরকার সমন্বিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম এবং চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির এ লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি রোধকল্পে চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) গঠিত সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ/প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যেসব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন এবং ইফতার সামগ্রীর ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে। আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না।  

নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যদি কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কারসাজি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করে। করোনাকালীন সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।  

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহ রোধে বিএসটিআই কর্তৃক সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তাদের মধ্যে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।  

শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এ মহামারিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুৎফুন নাহার বেগম ও মোহাং সেলিম উদ্দিন (অ. দা. মাননিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সহায়তা), বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার ও বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফআইসি’র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ টাকা ও মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।