ঢাকা, রবিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতের ট্রাক চললে বাংলাদেশের জাতীয় আয় বাড়বে ১৭%, ভারতের ৮% 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৮, মার্চ ৯, ২০২১
ভারতের ট্রাক চললে বাংলাদেশের জাতীয় আয় বাড়বে ১৭%, ভারতের ৮% 

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠলে দুই দেশেরই জাতীয় আয় বাড়বে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্যবাহী ট্রাক চললে দেশের জাতীয় আয় ১৭ শতাংশ ও ভারতের জাতীয় আয় ৮ শতাংশ বাড়বে বলে দাবি করেছে বিশ্বব্যাংক।

 

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ‘কানেক্টিং টু থ্রাইভ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি অব ট্রান্সপোর্ট ইন্টেগ্রেশন ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) মোটর যানবাহনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ হলো ভারত, নেপাল, ভুটান ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় প্রবেশের গেটওয়ে। আঞ্চলিক বাণিজ্য, ট্রানজিট ও লজিস্টিক নেটওয়ার্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক পাওয়ারহাউজ হতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে।

‘গত দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, তবে এটি বর্তমান সম্ভাবনার চেয়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার কম। আঞ্চলিক ও বাণিজ্য ট্রানজিট শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক সড়ক, জলপথ করিডোর, স্থলবন্দর, বাণিজ্যের জন্য ডিজিটাল ও সংক্রিয় সিস্টেমে উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করছে বিশ্ব ব্যাংক। ’

ভারতে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জুনায়েদ আহমেদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থায় (রেল, অভ্যন্তরীণ পানিপথ ও সড়ক) বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে এই অঞ্চলের অর্থনীতি করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে। এখন দীর্ঘমেয়াদী অন্তর্বর্তী ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আছে। বাংলাদেশের তাহলে ভারতে রপ্তানি বাড়বে ১৮২ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ১২৬ শতাংশ রপ্তানি বাড়বে ভারতের। বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতের ট্রাক চলাচলের অনুমোদন নেই। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো কেবল শিলিগুড়ি করিডোরের মাধ্যমে ভারতের মূল ভূ-খণ্ডে মাধ্যমে সংযুক্ত। এই রুট দীর্ঘ ও ব্যয়সাপেক্ষ।  

উদাহরণস্বরূপ, ভারতের আগরতলার পণ্য ১৬শ কিলোমিটার ঘুরে শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে কলকাতা বন্দরে পৌঁছে। বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করতে পারলে আগরতলা থেকে কলকাতা বন্দরে পৌঁছতে মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করতে পারলে আগরতলা-কলকাতা পণ্য পরিবহনে খরচ কমবে ৮০ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এমআইএস/এএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।