ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এলডিসি থেকে উত্তরণ 

যা হারাবো তার চেয়ে বেশি পাবো: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২১
যা হারাবো তার চেয়ে বেশি পাবো: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে আমরা যা হারাবো, তার চেয়ে বহু গুণ বেশি পাওয়া যাবে। এখন আমাদের শক্তি আরও অনেক বেশি বাড়বে।

বুধবার (০৩ মার্চ) দুপুরে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চ্যুয়ালি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এতদিন আমরা ছিলাম স্বল্পোন্নত দেশ, এখন চলে আসছি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। জাতি হিসেবে আমরা গৌরবান্বিত। এই অর্জনে এ দেশের সব মানুষের অবদান আছে। এই গ্র্যাজুয়েশনের জন্য, অবস্থান পরিবর্তনের জন্য আগের সমস্যাগুলো দূর হবে, আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতদিন পর্যন্ত যারা গ্র্যাজুয়েশেন করেছে তারা সবাই কিন্তু লাভবান হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা আফডিআই নেই। আমাদের এখানে বিনিয়োগের বিষয়ে আগে সবাই ভয়ে থাকতো। বড় কোনো এলসি খোলার প্রয়োজন হলে আমাদের দেশের ব্যাংক থেকে আমরা সরাসারি খুলতে পারি না। অন্য কোনো বিদেশি শক্তিশালী ব্যাংক থেকে এনডোর্স করে নিতে হতো। আমাদের এলসিগুলো অন্য দেশে বিশ্বাস করতো না। গ্র্যাজুয়েশনের ফলে এগুলো চলে যাবে।  

২০২৪ সালে এলডিসি থেকে ইউএনসিডিপি উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। যেটা আগে ২০২৪ সাল নির্ধারণ করা হয়েছিল, এখন ২ বছর সময় কেন বাড়ানো হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের পরিবর্তে ২০২৬ সালে নিয়ে গেছে ইউএনসিডিপি। সরকারি প্রস্তাবনায় এটা করা হয়েছে। আমরা কেন বাড়তি দুই বছর সময় নিলাম। অনেক কষ্ট করে একটা দেশ গ্র্যাজুয়েশন করে। গ্র্যাজুয়েশন করার পর একটা দেশের সব সুযোগ সুবিধাগুলো যদি কেড়ে নেওয়া হয়। তাহলে আবার সে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। তো আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখতে একটা বাড়তি সময় দেওয়া উচিত। তারাও সেদিন আমাকে কথা দিয়েছিলেন যে, এটা অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব। আমরা আগে এটা এভাবে চিন্তা করিনি। আমরা অবশ্যই এটা মাথায় রাখবো। সেভাবেই আমরা সময় বাড়িয়ে নিয়েছি।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, একটি দেশ যখন গ্র্যাজুয়েশন হয়, তখন এক স্তর থেকে আরেক স্তরে যাওয়ার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা কমে যায়, বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে যে সুযোগ সুবিধাগুলো ছিল, সেগুলো কাজে লাগাতে আরও কিছু সময় দরকার। সেজন্য বাড়তি সময়টুকু চেয়ে নিয়েছি। যাতে করে এই সময়ের মাঝে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি, এডপ্ট করতে পারি, ইক্যুইপট করতে পারি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও অর্থনীতিবিদরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা আমাদের স্ট্যাডি করা আছে। কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সেটা এখন সবাই জানে। তবে যে ধরনের ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক না। বলা হচ্ছে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাবে—এটা ঠিক নয়। কারণ, আমরা ১০০ ডলার রপ্তানি করলে তার পুরোটাই রপ্তানি নয়। সেখানে আমাদের ইনপুট থাকে হয়তো ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এটাই আমাদের বুঝতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।