ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বায়রা-প্রস্তাবিত অভিবাসন ব্যয়ের খাতওয়ারি ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০
বায়রা-প্রস্তাবিত অভিবাসন ব্যয়ের খাতওয়ারি ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

ঢাকা: বায়রার প্রস্তাবিত অভিবাসন ব্যয় কোন্ খাতে কত টাকা ধরা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যয় চিহ্নিত করতে বায়রার প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে ব্যয় খাতের উল্লেখ নেই।

কিন্তু খাতওয়ারি ব্যয় চিহ্নিত করা হলে জন-হয়রানির সুযোগ থাকবে না।

মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বায়রার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রস্তাব পাঠালে আলোচনা সাপেক্ষে অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। ’

উল্লেখ্য, বিদেশগামী যাত্রীর প্লেন ভাড়া, ভ্রমণ কর, মেডিকেল ফি, ভিসা ফিসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় হয়ে থাকে।

সম্প্রতি সরকারের নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় দ্বিগুণ করে নতুন করে অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, কুয়েত ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেতে পুরুষের জন্য সরকারিভাবে ৮৪ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা আছে। বায়রার প্রস্তাবে দেশভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অভিবাসন ব্যয় ধরা হয়েছে।

বায়রার পক্ষ থেকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণের প্রস্তাব থেকে জানা যায়, সৌদি আরবে অদক্ষ কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষেত্রে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, আধা-দক্ষ শ্রমিকের  ক্ষেত্রে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অদক্ষ কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা, আধা-দক্ষ কর্মীর ক্ষেত্রে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও নির্মাণ শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।

লিবিয়ায় অদক্ষ কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, আধা-দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষেত্রে  এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইরাকে তৈরি হওয়া নতুন শ্রমবাজারে এক লাখ ৩০ হাজার থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় শ্রমিক পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

মালয়েশিয়াতে বর্তমানে চার ক্যটাগরিতে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কারখানা শ্রমিকের এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা, নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষেত্রে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা, সার্ভিস সেক্টরে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা, প্লানটেশন ওয়ার্কারদের অভিবাসন ব্যয় ৯৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। ব্যয় নির্ধারণ করে তাড়াতাড়ি মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।