ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, তৈরি পোশাকসহ দেশের সব শিল্প প্রতিষ্ঠানেই ট্রেড ইউনিয়ন চালু করার কথা ভাবছে সরকার। শিগগিরই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে মরিয়ার্টি জানান,বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, `এ ঘটনায় আটকদের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা না হলে অসন্তোষ আরও বেড়ে যেতে পারে। `
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের সুরাহা করলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে।
মরিয়ার্টির বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে অভ্যন্তরীণ কারণ যেমন আছে, তেমনি আছে বাইরের উস্কানি। এর মদদদাতাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও দেশীয় আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর কথা ভাবছে সরকার।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিনিয়োগ বোর্ডে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকরভাবে চালু করতে হবে।
বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রতা বাদ দিয়ে করে চার মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যুত্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দেশগুলো যে প্রক্রিয়ায় এগিয়েছে বাংলাদেশকেও সেভাবেই এগুতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. অনন্য রায়হান।
বাংলাদেশ সময় : ১৭১৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০