ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে উদ্যোক্তা সৃষ্টির বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে উদ্যোক্তা সৃষ্টির বিকল্প নেই

ঢাকা: ‘উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ও যোগ্যতা নিয়ে বড় হতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে সফল উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এখন আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষার পরে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। এ ৫০ বছরে আমরা বিশ্বের বুকে অগ্রসর জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশ। এ করোনা আবহে যেখানে বিশ্বে বড় বড় দেশের অর্থনৈতিক চাকা থমকে গেছে সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চলমান রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা তার আগের ৪০ বছরের থেকেও বেশি। আর এটা সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ধারণার মাধ্যমে। তখন অবিশ্বাস্য হলেও এখন তা বাস্তব। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও কিছু লক্ষ্য স্থির করেছেন। আমরা ২০২৫ সালে মধ্যম আয়ের দেশে, ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশের পরিণত হওয়ার আশা করছি। আর সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।  

তিনি বলেন, আমাদের এখন মাথা পিছু আয় ২০০০ ডলারের কিছু বেশি হলেও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ ডলার হতে হবে। ইটস এ বিগ চ্যালেঞ্জ। তাই আমাদের এখন থেকেই ভাবতে হবে, প্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সাহসী দক্ষ ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। উদ্যোক্তা ও ইনোভেশনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি না করতে পারলে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।  

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০৩৫ সালে আমাদের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা হবে ১২ কোটি ৫৮ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ। আমাদের এ সুযোগটা নিতে হবে। এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। সবকিছু এখন প্রযুক্তি নির্ভর তাই আমাদেরও প্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে। সময়ের সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার না করতে পারলে টিকে থাকা যাবে না।  

তিনি বলেন, আগামী বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখেই বিডা উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে চলেছে। এরইমধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিডা ২১ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এরমধ্যে তিন হাজার সাতজন উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের কর্মজীবন শুরু করেছে। যার ফলে ৩০ হাজারের অধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ব্যাবসা সহজীকরণ থেকে শুরু করে বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিডা।  

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ইঞ্জিনিয়ার ড. হুমায়ূন কবির বলেন, আগামী প্রজন্মকে ব্র্যান্ড বাংলাদেশ নিয়ে ভাবতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।  

মিসেস কাহকাশা-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. ইফফত জাহান (ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ) বক্তব্য রাখেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।