ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিসেম্বরের মধ্যে প্রণোদনার ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ হবে: গভর্নর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
ডিসেম্বরের মধ্যে প্রণোদনার ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ হবে: গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির

ঢাকা: প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ঋণ বিতরণে যেসব খাতে পিছিয়ে রয়েছে ডিসেম্বরের শেষে শতভাগ না হলেও ৯০ শতাংশ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

তিনি বলেন, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এ স্কিম আরও বড় হবে। বিশ্ব ও সরকারের অর্থ এ স্কিমে যুক্ত করে আমরা এর আকার পাঁচ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করতে চাই। তাহলে সিএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজটা পুরোপুরি বাস্তবায়নে আর সমস্যা থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় সভা ‘কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক সিরিজ মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল তহবিল থেকে যে হারে ঋণ দেওয়া হচ্ছে সে হারে সিএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া যাচ্ছে না। সিএসএমই খাতের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে সেখান থেকে এ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে ৪১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে সেটা আট হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এ ঋণ বিতরণে গতি আনতে আমরা দুই হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট গ্যারেন্টি স্কিম চালু করেছি।

তিনি বলেন, যেসব খাতে ঋণ বিতরণ এখনো পিছিয়ে রয়েছে ডিসেম্বরের শেষে পুরোপুরি না হলেও এসব ঋণের ৯০ শতাংশ বিতরণ করে ফেলবো। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ সচিব আব্দুর রউফ বলেন, করোনায় দুই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। একটা হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের ক্ষতি, অন্যটা অর্র্থনীতির ক্ষতি। স্বাস্থ্যখাতের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়টি নিয়মিত আপডেট করবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা নির্ধারণে আরও একটু সময় লাগবে। এটা এখনি বলা সম্ভাব হবে না।

তিনি বলেন, ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে এরইমধ্যে প্রায় ৫৬ থেকে ৫৭ শতাংশ ঋণ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব প্যাকেজের মধ্যে কিছু আছে যেগুলো বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমরা এগুলো বাস্তবায়নেও কাজ শেষ করে নিয়ে এসেছি। আগামীতে এসব প্যাকেজ বাস্তবায়নেও গতি আসবে।  

করোনায় অর্থনীতিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় তথা ২০২৪ সালেই আমরা এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবো কিনা? এমন প্রশ্নে অর্থ সচিব বলেন, এক্ষেত্রে আমরা ২০১৮ সালে (২০১৬ সালের ডাটা অনুযায়ী) তিনটি সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছি। আগামী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে যে মূল্যায়ন হবে সেটা ২০১৯ সালের ডাটার ভিত্তিতে হবে। সে অনুযায়ী আমরা খুব ভালো অবস্থানে রয়েছি। তাই এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত এ বিষয়ে আমরা আগের প্ল্যান অনুযায়ী এগিয়ে যাবো।

সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। প্যানেল আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট (এফবিসিসিআই) শেখ ফজলে ফাহিম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।

** অনেকেই প্রণোদনার অর্থ পাচ্ছে না, ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

বাংলাদেশ সময়: ২৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।