ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আলুর দাম বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আলুর দাম বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হবে

ঢাকা: ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আলুর দাম বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুল রাজ্জাক।  

তিনি বলেন, বিকেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে আলুর নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

আমার মনে হয় আলুর দামটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে করা হতে পারে। এছাড়া বিদেশ থেকেও আলু আমদানি করার চেষ্টা চলছে। ইরানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল কৃষক যাতে এবছর ভালো দাম পায়। কিন্তু দাম বাড়াতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। এবছর আলুর ব্যবহার অনেক হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এজন্য আমরা পুনঃবিবেচনা করছি। খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম বাড়াতে হবে। এটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হতে পারে। তবে বিকেলে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হবে।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের আলু চাষের এলাকা কমেছে, উৎপাদনও কিছু কম হয়েছে। এরমধ্যে কোভিড মহামারি এলো। আমাদের এবার লক্ষ্য ছিল আলুর দাম বাড়ানোর। দাম বাড়াতে গিয়ে এমন একটা বিপর্যয়কর অবস্থা হবে ভাবিনি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, রিকশাওয়ালা-ভ্যানওয়ালা, শ্রমিক তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। এত দাম চিন্তাই করা যায় না। ৫০ টাকা কিংবা এরও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এবার ত্রাণের মধ্যে আলু দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদেরও আলু দিতে বলেছিলাম। এজন্য আলুর ব্যবহারটা বেশি হয়েছে। এছাড়া গত ৫ মাস ধরে টানা বৃষ্টিতে শাক-সবজি অনেক পচে গেছে, মানুষ আলুর উপর নির্ভরশীল হয়েছে। তা না হলে কোনোক্রমেই আলুর দাম এত বেশি হওয়ার কথা নয়।

‘আমাদের কৃষি বিপণন অধিদফতর দাম নির্ধারণ করেছিল ৩০ টাকা। সেই দামেই বিক্রি করার জন্য তারা একটা প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। সেভাবে সফল হয়নি। এখন ব্যবসায়ীরা আলুই বের করছে না, দাম বেশি। আমরা এটা (নির্ধারিত দাম) পুনঃবিবেচনা করছি। পর্যালোচনা করে, মাঠ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ীদের লাভ ধরে মূল্য অবশ্যই বাড়াতে হবে। দাম পুনর্নির্ধারণের পর আমরা আবার আমাদের মনিটরিং করবো, এটা কঠোরভাবে দেখার চেষ্টা করবো। দাম অবশ্যই ৩০ টাকার বেশি হবে। ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে একটা দাম চিন্তা করা হচ্ছে। ’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আশা করি নতুন আলু এলে আলুর দাম কমে যাবে। এবার আলু অনেক হবে। আলুতে আমাদের ঘাটতি থাকার কোনো কারণ নেই। আমাদের পর্যাপ্ত আলু হয়। আশা করি ভবিষ্যতে এই সমস্যা হবে না। আমরা এখনও চিন্তা করছি আলু কীভাবে রপ্তানি করা যায়। এই বিপর্যয়ের জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।