ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিসিকের ৫ দিনব্যাপী হেমন্তমেলা জমে উঠেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
বিসিকের ৫ দিনব্যাপী হেমন্তমেলা জমে উঠেছে হেমন্তমেলায় দর্শনার্থীরা।

ঢাকা: শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ৫ দিনব্যাপী হেমন্তমেলা জমে উঠেছে। মেলার স্টলগুলোতে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর স্থান পেয়েছে।

 

বিসিক ভবনে আয়োজিত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিসিক থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।     

এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৭-৮ মাস ধরে সব ধরনের মেলা বন্ধ থাকা ছিল। এতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বিসিকসহ সব শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং তৈরি গার্মেন্টস ইন্ডাট্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস/ট্রেন/প্লেন ইত্যাদি চালু হয়েছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারা মেলা চালু করার জন্য বিসিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে আসছিল। ফলশ্রুতিতে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে করে বিসিক ৫ দিনব্যাপী হেমন্তমেলার আয়োজন করেছে। বিসিক ভবনে আয়োজিত এ মেলায় প্রায় ৬০ জন ক্ষুদ্র ও কুটিশিল্প উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছে।  

এদিকে রোববার (১৮ অক্টোবর) বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান, এনডিসি, মহোদয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হেমন্তমেলা ১৪২৭ ও কারুশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিকের পরিচালক (বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প) মো. আলমগীর হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান নকশাবিদ জেসমিন নাহার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান, এনডিসি মেলায় আগত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও বিক্রেতারাকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।  

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করে উদ্যোক্তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিকের পক্ষ থেকে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয়েছে।

এছাড়াও বাস, ট্রেন, লঞ্চ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই বিসিকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার আয়োজন করা হয়েছে যাতে উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারেন। আর ক্রেতা সাধারণকে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটার আহ্বান জানান বিসিক চেয়ারম্যান।

এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অর্থ) স্বপন কুমার ঘোষ, পরিচালক ( শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) মো. খলিলুর রহমান, বিসিক সচিব মো. মফিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) অখিল রঞ্জন তরফদার, উপমহাব্যবস্থাপক (গবেষণা) গুলশান আরা বেগম, আইসিটি সেল প্রধান মো. দেলোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক (ঋণ প্রশাসন) জি এম রব্বানী তালুকদারসহ বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, নকশা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কারুশিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৮ সাল থেকে বিসিক নকশা কেন্দ্র ঋতুভিক্তিক মেলার আয়োজন করে আসছে। মেলা উপলক্ষে নকশা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান ও সৃজনশীলতার আলোকে শিল্পপণ্য নিয়ে নকশাকেন্দ্রের জয়নুল আবেদিন প্রদর্শন কক্ষে আয়োজন করা হয়ে থাকে “ত্রৈমাসিক কারুশিল্প প্রদর্শনী”।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad