ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাড়তি দামে পেঁয়াজ, চড়া সবজির বাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
বাড়তি দামে পেঁয়াজ, চড়া সবজির বাজার

রাজশাহী: ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ার পর থেকে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম ‘সেঞ্চুরি’তে পৌঁছালোও এরই মধ্যে লাগামছাড়া হতে শুরু করেছে সবজির দাম।

রাজশাহীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতের নতুন সবজি উঠলেও তা নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা কঠিন।  

বাজারে প্রকারভেদে সবজি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।  

বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতার। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দামই বাড়তি। মাত্র তিন দিন আগে যে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ৩০ টাকা। তা এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। ফুলকপির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা কেজি। পাশাপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি ও বেগুন। এ দুই ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। শসা ও টমেটোর দাম কেজিতে ২০ করে বেড়ে প্রতিকেজি টমেটো ১২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া পটলের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা। যা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকা। লেবু ১০ টাকা হালি থেকে বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা। ডুমুর ২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। মুলা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।

গত এক মাস ধরেই সবজির মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। আঠাশ চাল প্রতিকেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৩ টাকা, বাসমতি ৬০ টাকা। জিরাশাইল ৫২ টাকা।

এদিকে রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজিতে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাড়তি দাম আদা ও রসুনের। এ বাজারে কেজিপ্রতি আদা ও রসুন এখন ১২০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আর দেশি আদা এখন ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
 
সাহেব বাজারে ক্রেতা মো. রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ে। গত কয়েক দিন ধরে শীতের আগাম সবজির দাম বেশ চড়া। এ সপ্তাহে অন্য সবজিও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা যে দাম চাচ্ছেন সেই দামেই পণ্য কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

অপর ক্রেতা হারুনুর রশীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্রমাগতভাবে দেশে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন পেঁয়াজের বাজারে আগুন। সবজিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। বাজারে মনিটরিং নেই। কেন দাম বাড়ে, তা দেখার যেন কেউ নেই।  

এ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রজব আলী বলেন, পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত সবজি নেই। এ কারণে দাম একটু বাড়তি। এছাড়া শীতের আগাম সবজির দামও চড়া। যার প্রভাব পড়ছে অন্য সবজিতে। তবে এক থেকে দুই সপ্তাহ পর বাজারে সবজিতে ভরপুর থাকবে। তখন দাম কমতে শুরু করবে।

অপর সবজি বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, এবার আগাম সবজির উৎপাদন খারাপ হয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কম। নতুন সবজি বাজারে এলে দাম কমতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।