ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের পর চড়া সবজির বাজার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
ঈদের পর চড়া সবজির বাজার  সবজির বাজার/ ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান বন্যা আর ঈদের পর বাড়তি মালামাল না আসার অজুহাতে দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজির। বাজারগুলোতে আকার ও সবজিভেদে পাঁচ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুন, করলা ও উস্তার দাম। বাড়তি দাম চাওয়া হচ্ছে শাকেরও। অন্যদিকে শাকসবজির সঙ্গে দাম বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচেরও। ঈদের আগে কাঁচা মরিচ কেজিতে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা ফের ২০০ এর ঘরে গিয়ে ঠেকেছে। অপরিবর্তিত আছে মসলাজতীয় পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম।

এদিকে সবজির উচ্চমূল্য নিয়ে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার পাশাপাশি ঈদের পর বাজারগুলোতে সংকট থাকায় বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে সবজির। আর ক্রেতারা বলছেন, যেকোনো ইস্যু পেলেই বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ী খুচরা বাজারগুলো ঘুরে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এসব বাজারগুলোতে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে এখন করলা ও উস্তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে, লম্বা বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ১শ টাকা কেজিদরে। তবে এসব বাজার এলাকার অস্থায়ী বাজার (ফুটপাত ও গলিপথ) করলা-উস্তা ১শ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন প্রতিকেজি গাজর ৯০ থেকে ১শ টাকা, প্রতিকেজি ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরলতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরছড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এছাড়া হালিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।  হালিতে পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতিহালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। দাম বেড়ে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ টাকায়। অপরিবর্তিত আছে আলু, মিষ্টি কুমড়া, ধনিয়াপাতা, পুদিনাপাতার দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন কাঁচামরিচ প্রতিকেজি (দেশি) ২০০ টাকা, আমদানি ১৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে শাকের বাজারেও। এখন এসব বাজারে প্রতি আঁটি লালশাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ টাকা, মূলা ও কলমিশাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়াশাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা।

আগের দাম রয়েছে আদা, রসুন ও পেয়াজ বাজারে। এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে, প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিদরে।   অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম। এসব প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৫৫ টাকা, বাসমতী ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, গুটিচাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পায়জাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, স্বর্ণ ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিদরে, আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজিদরে, আতপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এক সেদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১শ টাকা কেজিদরে।

প্রতিকেজি ডাবলী ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাঙ্কার ডাল ৫০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মসুরডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন (লাল) এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা লিটার।

নাজমুল হোসেন নামে মালিবাগ বাজারের এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। এখন বন্যার পাশাপাশি ঈদের কারণে বাজারে মালামাল কম আসছে। এতে দাম বেড়েছে সবজির। তবে পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কম আসবে বলেও জানান তিনি।

তবে এ বিক্রেতার সঙ্গে একমত নন এ বাজারের ক্রেতা রাসেল। তিনি বলেন, কোনো ইস্যু পেলেই বিক্রেতারা পণ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন। এখন বাজারের সবজির সরবরাহ কমে গেছে। একইসঙ্গে ক্রেতাও কমেছে এতে দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।