ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এবারও কোরবানির চামড়ার নায্য দাম নিয়ে শঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২০
এবারও কোরবানির চামড়ার নায্য দাম নিয়ে শঙ্কা লালবাগের পোস্তা চামড়ার পাইকারি আড়ত

ঢাকা: আড়তদারদের সিন্ডিকেটে এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার নায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা যেমন চামড়ার দাম পাচ্ছেন না, তেমনি দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও।

ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করছেন।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা চামড়ার দাম কম। এক জায়গায় দাম করলে অন্য আড়ত আগ্রহ দেখায় না, এমনকি দামও করতে চায় না। ফলে আড়তদাররা একচেটিয়া দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন।

কেরানীগঞ্জ থেকে পুরান ঢাকার পোস্তায় চামড়া বিক্রি করতে এসেছেন একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শামসুদ্দিন। বড় সাইজের দুটি কোরবানির গরুরর চামড়ার দাম হয়েছে ৫৫০ টাকা। কিন্তু এই চামড়া পোস্তায় নিয়ে আসতে তার খরচ হয়েছে আড়াইশ টাকা। তিনি চামড়া দুটি বিক্রি করতে চান ১৫০০ টাকায়। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতার দামে আকাশ-পাতাল ফারাক!

শনিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর লালবাগের পোস্তা চামড়ার পাইকারি আড়ত ঘুরে দরদামের এ তফাৎ দেখা যায়।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। চামড়ার দাম নিয়ে অন্তরালে কেউ কেউ নোংরা খেলাও খেলছেন। ফলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

দুপুরে পোস্তা পাইকারি আড়তে গিয়ে দেখা যায়, গরুর ছোট চামড়ার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি চামড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং বড় চামড়া ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত বছরের তুলনায় কম।

বিকেলে দেখা যায়, পোস্তায় চামড়ার পাইকারি বাজারে ভিড় করেছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া আসছে সেখানে। শুরু হয়েছে বেচাকেনা। তবে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, সন্ধ্যায় আরও বেশি দরপতন হবে।

মৌসুমি ব্যবসায়ী লবিব মিয়া বলেন, চামড়া একটু একটু আসছে। শুরুর দিকে যদি দামের এ অবস্থা হয় তাহলে সন্ধ্যা পর কোন পর্যায়ে দাম যাবে! খরচসহ মাঝারি চামড়া কিনতে খরচ হয়েছে ৩০০ টাকা, এখন যে অবস্থা দেখছি, মূল দামই তোলা দায়।

পাইকারি ব্যবসায়ী তহুর আলী বলেন, এখন পর্যন্ত উপযুক্ত দামেই আমরা চামড়া কিনছি। কিন্তু সন্ধ্যার পর যদি বাজার পড়ে যায় তাহলে সেই দামও আমরা দিতে পারব না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২০
টিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad