ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নজরে আনতে কোরবানির গরুর সাজসজ্জা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
নজরে আনতে কোরবানির গরুর সাজসজ্জা গরুর শিঙে রঙ্গিন কাপড়/ ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: দুয়ারে কড়া নাড়ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বড় উৎসব ‘ঈদুল আজহা ঈদুল বা কোরবানি ঈদ’। প্রতিবছরের মতো এবারেও দেশের জেলা ও শহরগুলোতে বসেছে ছোট-বড় কোরবানির পশুরহাট।

দেশে করোনা ও বন্যার দুর্যোগ থাকায় অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। হাটে তোলা হচ্ছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের কোরবানির পশু। ব্যাপারীরা হাটে আনা গরুগুলোর গলায় ও শিঙে পরিয়েছে বিভিন্ন রঙে জরির মালা ও রঙ্গিন কাপড়ের মালা। গরুর সাজসজ্জা কারণে যোগ করে কোরবানির ঈদের একটু বাড়তি মাত্রা!

বুধবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর গাবতলীর পশুরহাট ঘুরেও দেখা গেলো এমন চিত্র। হাটের একদিকে যেমন অস্থায়ী দোকানিরা রশি, লাঠি আর নানান রকমের মালা নিয়ে বসেছেন, তেমনি গরুর ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই সেগুলো কিনে সাজিয়ে নিচ্ছেন নিজের গরুটিকে।

গাবতলীর পশুরহাট থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন মিরপুরের বাসিন্দা মিলন মিয়া। গরুর এমন সাজসজ্জার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পশুর গলায় ফুল আর ঝিকিমিকি জরির মালা পরালে সৌন্দর্য বেড়ে যায় অনেক। দেখতেও ভালো লাগে বেশ। তাই এগুলো পরিয়ে নিলাম। .ভেলভেটের কাপড়ে এমব্রয়ডারি করা বাহারি নকশার শিঙের কাপড় আর বিভিন্ন ধরনের মালা দিয়ে নিজের গরুকে সাজিয়ে রেখেছিলেন মানিকগঞ্জ থেকে হাটে গরু নিয়ে আসা আফতাব উদ্দিন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গরুকে একটু সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ে। তাই তিনি এভাবে সাজিয়ে তুলছেন তার গরুটিকে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাপড়ের সঙ্গে ঘণ্টা জড়ানো ‘ঘণ্টি মালা’, রঙিন কাপড়ে জরি লাগানো ‘জরি মালা’, গ্লাস মালা, টাই মালা এবং মাথার ওপর রাখার জন্য ‘চান্দিনা’সহ বিভিন্ন সাজের জিনিস পাওয়া যাচ্ছে হাটের সঙ্গে লাগোয়া অস্থায়ী দোকানগুলোতেই। অনেকেই আবার ফেরি করেও পুরো হাট ঘুরে বিক্রি করছেন এগুলো।

এমন এক ফেরিওয়ালা আরিফুল হক বলেন, গরুকে সাজানোর জন্য মালার চাহিদায় সবথেকে বেশি। আর এগুলো মূলত গরু কেনার পর নতুন ক্রেতারা বেশি কিনে থাকেন। যারা একটু সৌখিন, তাদের কাছে এগুলোর কদর আছে অনেক। আর মালাভেদে এগুলোর দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।

তবে এবার এই ব্যবসায় মন্দা চলছে উল্লেখ করে আরিফুল হক বলেন, এবার হাটে গরু, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই কম। ফলে ব্যবসা নেই বললেই চলে। আর যারা আসছেন, তারাও অনেকে করোনা সংক্রমণের ভেতর সৌখিনতাটা প্রকাশ করতে চাইছেন না বা পারছেন না। ঝটপট গরু কিনেই চলে যাচ্ছেন। .হাটের প্রবেশ মুখের মালা ও রশির দোকানি মিলন আহমেদ বলেন, এবার ব্যবসা এখনো তেমন ভালো না। তবে যেহেতু পশুর বিক্রি চাঁদ রাতে বেশি হয়, তখন কিছু বেচা-কেনা হওয়ার আশা রয়েছে।

তবে বেচাকেনা যেমনই হোক না কেন, খানিকটা বাড়তি মাত্রাই যোগ করতে গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো পক্ষেরই আগ্রহের কমতি নেই নিজের পশুটিকে সাজিয়ে নিতে। তাইতো চিরাচরিত এ বিষয়ে একটু আগ্রহ দেখান আগ্রহ ভরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।