ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২ টাকার নোট বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক

সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১২
২ টাকার নোট বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক

ঢাকা: দুই টাকার নোটের মালিকানা সরকারের। এটি কোনও ব্যাংকনোট নয়।

১৯৮৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম দুই টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়।

শুধু বাংলাদেশ নয়, স্বাধীনতার নির্দশন হিসেবে প্রতিটি দেশের সরকার নিজে কিছু নোট ইস্যু করে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তার স্বাধীনতার প্রতীক এক ও দুই টাকার নোট। সেইসঙ্গে বিভিন্ন মানের পয়সা।

স্বাধীনতা-উত্তরকালে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশে ৫ টাকা মানের নিচে যত টাকা থাকবে তা সরকারের দায়িত্বে। এসব নোট স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বাজারে থাকবে। আর ৫ টাকা মানের ওপরেরগুলো ব্যাংক নোট হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ইস্যু করবে।

তবে পরে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করে ৫ টাকার নোটের মালিকানা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দিয়ে দেয়।  

জানা গেছে, এ সিদ্ধান্তের কারণে এক টাকা ও দুই টাকার নোটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং অন্য ব্যাংক নোটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখা থাকে।


বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, প্রচলিত দুই টাকার নোট প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১৯৮৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর এক টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয় ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সালে।

পরে এর নকশা পরিবর্তন করে ১৯৭৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নতুন করে ইস্যু করা হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিটরি পলিসি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুসাররাত জাহান বাংলানিউজকে জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে একটি সাধারণ চর্চা ছিলো সরকার তার স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে কিছু স্মারক বাজারে ছাড়ে। তার পুরো মালিকানা যেমন সরকারের, তেমন তার গ্যারান্টারও সরকার।

সেই চর্চা থেকে পাকিস্তান আমলেও এমন রেওয়াজ ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সেই আলোকে ৫ টাকার নিচের নোটগুলোর মালিকানা সরকারের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, এক টাকা, দুই টাকার মানের কাগজে নোটের পাশাপাশি বিভিন্ন মানের পয়সার (কয়েন) মালিকানাও সরকারের।

এছাড়া দেশে প্রচলিত সকল কাগজের নোট ব্যাংক নোট। যেমন ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট।

এসব নোট যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক ইস্যু করে থাকে, তেমনি এর গ্যারান্টারও বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসব নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর স্বাক্ষর করে থাকেন। আর সরকারি নোটগুলোতে স্বাক্ষর করেন অর্থ সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।