ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পশু বিক্রি: ফেসবুক বেছে নিচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
পশু বিক্রি: ফেসবুক বেছে নিচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা

ঢাকা: করোনার প্রভাব মোকাবিলায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে শারীরিক দূরুত্বের কথা বিবেচনায় এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কেনাবেচার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডিজিটাল বাজার (অনলাইনে কেনাবেচা) বসছে। এতে ক্রেতারা ঘরে বসেই কিনতে পারবেন পছন্দের পশু গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। ক্রেতার চাহিদার বিবেচনায় খামারিরাও পশুর বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক্ষেত্রে সবাই ফেসবুকে বেছে নিচ্ছেন।

ডিজিটাল বাজারের মতো ফেসবুকেও খামারিরা তুলে ধরেছেন পশুর নানা বৈশিষ্ট। যেমন পশু ন্যাচারাল খাবার খেয়ে বড় হয়েছে, কোনো কেমিক্যালে বা ইনজেকশন দেওয়া হয়নি, পশুর ওজন ইত্যাদি।

সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে খামারিকে।

মেহেরপুর গাংনীর খামারি মো. শফি। প্রতি বছরের মতো এবারও তিনি তিনটি দেশি জাতের ষাঁড় পালন করেছেন। তবে ভালো দাম পাবেন কি না এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। তবে তার গরু বিক্রির ধরন পাল্টিয়ে এখন নিজের ছেলের (আশরাফুল আলম) নামে খোলা ফেসবুক আইডিতে প্রচার করছেন। দাম ও পশুর বৈশিষ্ট তুলে ধরেছেন তিনি।

গাংনীর অপর খামারি ইকতার তাদের গ্রামের নামে খোলা ফেসবুক পেজে নিজ গরুর বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি লেখাপড়া জানিনা তবে গ্রামের কিছু ছেলেরা আমার গরুর ছবি ইন্টারনেটে (ফেসবুকে) ছেড়েছে। কয়েকজন দর দাম করেছে তবে আশানুরুপ দাম না হওয়ায় বিক্রি করিনি। তবে এখান থেকে ভালো দাম পেলে ছেড়ে (বিক্রি) দেবো।

শফি বাংলানিউজকে বলেন, এবারের বাজারটি অন্য বছরের তুলনায় ভিন্ন। এবার মূল বাজারের চেয়ে ডিজিটাল বাজারকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতারা। তাই আমি ফেসবুকে আমার তিনটি গরুর বিজ্ঞাপন দিয়েছি, পাশাপাশি জেলার ডিজিটাল বাজারেও থাকবে আমার গরু।

একই কথা জানান কুষ্টিয়ার আমলার খামারি আরিফুল। তিনি এবারে নিজের পালন করা অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি ষাঁড় বিক্রির জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। নিজের নামে খোলা ফেসবুকে তার গরুটির দাম চাওয়া হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আমার গরুটিকে সম্পন্ন প্রাকৃতিক ঘাস, খড়, চালের কুড়া দিয়ে পালন করে আসছি। বাজার ভালো হলে দাম ভালো পাবো না হলে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেবো।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল গরুর হাট উদ্বোধন করা হয়েছে ১১ জুলাই। এখান থেকে কেবল গরু কেনাই নয়, স্বাস্থ্য সম্মতভাবে জবাই করে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। যারা অনলাইন মাধ্যম থেকে গরু কিনবেন তাদের হাসিল দিতে হবে না। ডিএনসিসিতে অনলাইন কোরবানির হাট থেকে কোরবানি দিন ৪০০ গরু, পরের দিন এক হাজার গরু এবং তার পরের দিন ৬০০ গরু বিক্রি করা হবে।

ডিএনসিসির বাজার উদ্বোধনী দিনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেশে ডিজিটাল গরুর হাটের মাধ্যমে কোরবানি পশু ক্রয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হলো। করোনার প্রাদুর্ভাব কমে গেলেও আমরা কোরবানি পশু ক্রয়ে এ ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মের ওপর নির্ভর করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
ইএআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।