ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি সচলের দাবিতে বেনাপোলে ১০ ঘণ্টা বন্ধ ছিলো আমদানি

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
রপ্তানি সচলের দাবিতে বেনাপোলে ১০ ঘণ্টা বন্ধ ছিলো আমদানি

বেনাপোল (যশোর): করোনায় আড়াই মাস পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি সচল হলেও এখনো সচল হয়নি রপ্তানি। তিন মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকায় রপ্তানি সচল করার দাবিতে ১০ ঘণ্টা আমদানি বন্ধ রাখে রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে রপ্তানি সচলের দাবিতে ১০ ঘণ্টা বেনাপোল-পেট্রাপোলের সঙ্গে আমদানি বন্ধ করে রাখা হয়।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের স্থলপথে রপ্তানি বাণিজ্যের ৭০ শতাংশই হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ২২ মার্চ থেকে স্থলপথে আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত ৭ জুন এ পথে ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হলেও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে।

বেনাপোল আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে জানান, আমদানি সচল থাকলেও ভারত বাংলাদেশ থেকে কোনো রপ্তানি পণ্য নিচ্ছে না। এতে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বারবার রপ্তানি চালুর জন্য ভারতের প্রতিনিধিদের বলার পরেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। এজন্য রপ্তানিকারকরা ১০ ঘণ্টা আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

রপ্তানিকারকরা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। এতে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ, বৃষ্টিতে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে তেমনি দিনদিন ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাল্লা ও ভারী হচ্ছে।

তারা আরও জানান, বাংলাদেশের রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্য সচলের জন্য বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। করোনা সংক্রমণের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্য নিতে চাইছেনা। এজন্য রপ্তানি সচলের দাবিতে ১০ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় আমদানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।