ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে শুধু আমদানি নয়, রপ্তানিও হবে

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে শুধু আমদানি নয়, রপ্তানিও হবে

বেনাপোল (যশোর): স্থলপথের পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে এরই মধ্যে রেলপথে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।

এ রুটে বাণিজ্য আরো গতিশীল করতে রেলপথে আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিও চালু করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।  

এরই মধ্যে দেশের বাণিজ্য ও নৌ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আলোচনা হয়েছে।

খুব দ্রুত তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (১ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার।

তিনি বলেন, রেলপথে আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিও চালু হলে বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব অনান্য সব বন্দরের চাইতে আরো বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য ও নৌ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বন্দর ও কাস্টমসের মধ্যেও কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুব দ্রুত বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, হরতাল, অবরোধের সময় ট্রাকে পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হয় না, রেলপথ সে সমস্যামুক্ত। রেলপথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বাণিজ্য প্রসারের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন বন্দর কর্তকর্তারাও।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মুজিবার রহমান জানান, করোনার কারণে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রপ্তানি। এতে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ, বৃষ্টিতে যেমন পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে, তেমনি দিন দিন ভারী হচ্ছে ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাল্লা।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ অংশের ব্যবসায়ীরা স্থলপথে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্য সচলের জন্য বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। করোনা সংক্রমণের অজুহাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্য নিতে চাইছে না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য অবশেষে রেলপথে আমদানির পাশাপাশি রপ্তানির পরিকল্পনা করা হয়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রায়ই হরতাল-অবরোধ বা শ্রমিক আন্দোলনে স্থলপথে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্থ হয়। এখন যুক্ত হয়েছে করোনার ভয়। করোনার কারণেও পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু হলে এ সমস্যা থেকে ব্যবসায়ীরা রক্ষা পাবেন। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

বেনাপোল বন্দরের রেললাইন, ছবি: বাংলানিউজ

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে ৩৫ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এ পথে আমদানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রপ্তানির পরিমাণও। এ বছর ১০ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও কিছু পণ্য আমদানি হচ্ছে। এখন যুক্ত হবে রপ্তানি বাণিজ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।