ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সমন্বিত রাজস্ব ব্যবস্থার বাস্তবায়ন চায় এফবিসিসিআই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
সমন্বিত রাজস্ব ব্যবস্থার বাস্তবায়ন চায় এফবিসিসিআই

ঢাকা: যেসব জায়গায় তিন শতাংশ অগ্রিম কর (অ্যাডভান্স ট্যাক্স) ব্যবস্থা রয়েছে তা বিলুপ্ত করে ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস ট্যারিফ কমিয়ে নেট বাড়িয়ে সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় রাজস্ব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

শনিবার (২৭ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

এসময় সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় কর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন না করে সরকারের টাকা নেওয়া কর্মকর্তা ও পরামর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শেখ ফাহিম।

তিনি বলেন, এসব কর্মকর্তা ও পরামর্শক সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বয়ংক্রিয় কর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেননি অথবা পারেননি। কর হার কমিয়ে করের আওতাও বাড়ানো হয়নি।

সার্বিক ভ্যাট ব্যবস্থার অনলাইন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সালে সরকার ৬৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ‘রেভিনিউ মোবিলাইজেশন প্রোগ্রাম ফর রেজাল্টস: ভ্যাট ইম্প্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। চলতি বছর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বসানোর কাজ শেষ করতে পারেনি।

লিখিত বক্তব্যে শেখ ফাহিম বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে বছরের বিশেষ সময়ে দাম কম থাকার কারণে বেশি কেনা হয়, যা সারা বছরে ফিনিশড গুড প্রডাকশন হয়, এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছায় ঢুকে কাগজ রেকর্ড জব্দ, আগে যেটা সিনিয়র অফিসারদের ক্লিয়ারেন্স লাগতো, ভ্যাট ক্লেইম করলে ১০ শতাংশের জায়গায় ২০ শতাংশ জমা দিয়ে (এটা প্রতি ধাপে না দিতে হয় এদিকে এনবিআর দেখছে), টেলিকমের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ দিয়ে আর্বিট্রেশন করা এবং তার ৩০ শতাংশ ক্লেইমেন্ট অফিসার ইনসেনটিভ পাবে ইত্যাদি। এ ধরনের আরও ধারা আছে যেগুলো প্রক্রিয়াকে জটিল, স্বচ্ছতা ব্যাহত করবে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে এবং সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় কাস্টমস, ট্যাক্স, ভ্যাট নীতির পরিপন্থী, যার টাকা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দিয়েছে। সেহেতু যেসব কনসালটেন্ট, অফিসারকে টাকা পরিশোধ করা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত সমন্বিত ও স্বয়ক্রিয় কম ট্যারিফ ব্যবস্থা বিস্তৃত করতে পারেনি অথবা করেননি অথচ নতুন নতুন জটিলতার সৃষ্টি করছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারণ এক শতাংশের জন্য বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশের ভুক্তভোগী হওয়া উচিত না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
এসই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।