ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফের কাগজ উৎপাদনে কেপিএম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
ফের কাগজ উৎপাদনে কেপিএম

রাঙামাটি: ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৬ জুন) থেকে পুনরায় কাগজ উৎপাদন শুরু করেছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম)।

রোববার (৭ জুন) দুপুরে কেপিএম’র ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) গোলাম সরোয়ার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে কাঁচামাল সংকট এবং সরকারি অর্ডার না থাকায় গত ২৪ মে থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখে এক সময়ের দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী মিল কেপিএম।

 

ব্যবস্থাপক গোলাম সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ৬ জুন ২৬ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন করেছে কেপিএম। কিছু কাঁচামাল থাকায় ফের উৎপাদনে যেতে পেরেছে মিলটি।  

তিনি বলেন, আগামী ১০ জুনের মধ্যে ৭০০ মেট্রিক টন কাঁচামাল মিল কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করবে এবং মিলটি পুরোদমে উৎপাদনে যাবে। তবে এখন পর্যন্ত কাগজ সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কেপিএম থেকে কাগজ কিনবে কি-না সেই বিষয়ে কোনো লিখিত পত্র পাঠায়নি।  

গোলাম সরোয়ার আরও বলেন, কেপিএম থেকে  ১ হাজার মেট্রিক টন কাগজ কেনার কথা ছিল এনসিটিবি’র। প্রতিষ্ঠানটি কাগজ কিনলে কেপিএমে বিক্রয় সংকট থাকবে না।  

এদিকে কেপিএম সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) এই প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার মেট্রিক টন হলেও বর্তমানে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদনের কারণে এটি একটি লোকসানে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।  

মিলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক কর্মকর্তারা জানান, যদি দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়, তাহলে মিলটির আর লোকসান গুণতে হবে না। বর্তমানে যে সরঞ্জাম আছে তা দিয়ে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিক টন কাগজ  উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তারা।  

এ বিষয়ে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, কাঁচামাল সংকট এবং বিক্রয় সংকটের ফলে কেপিএম’র উৎপাদন বন্ধ ছিল। মিল চালু হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।  

** কাঁচামাল সংকটে কেপিএম-এ কাগজ উৎপাদন বন্ধ

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।