ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

হিলি স্থলবন্দরে আড়াই মাসে ৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২০
হিলি স্থলবন্দরে আড়াই মাসে ৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম 

দিনাজপুর: বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাব পড়েছে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। প্রায় আড়াই মাস স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকারের ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে। 

তবে শনিবার (৬ জুন) থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর ফলে সরকার নতুন করে রাজস্ব পেতে শুরু করবে।
 
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনায় প্রায় আড়াই মাস হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।

শুক্রবার (৫ জুন) বিকেলে হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শুন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শনিবার (৬ জুন) থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
 
কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস হিলি স্থলবন্দরে দুদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গেলো দুই মাসে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করার কথা থাকলেও করোনার কারণ রাজস্ব আদায় শুন্যের কোঠায়। গেলো অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ২৭১ কোটি লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিলেও তা আদায় করা সম্ভব হয়নি শুল্ক স্টেশনটির। গেলো অর্থ বছরে এ স্থলবন্দরে ১৯৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
 
হিলি কাস্টমস সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় আড়াই মাস হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় গেলো অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর থেকে বেধে দেওয়া রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সব থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হয় এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে। কারণ রমজান মাস এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এই বন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্য জিরা, আদা, বাদামসহ অনেক পণ্য বেশি আমদানি হয়ে থাকে। এসব পণ্য আমদানি না হওয়াতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।  

শনিবার (৬ জুন) থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে সরকার নতুন করে রাজস্ব পেতে শুরু করবে।
 
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (৫ জুন) বিকেলে হিলির জিরো পয়েন্টে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার থেকে ২০টি করে মোট ৪০ ট্রাক পণ্য ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রফতানি করবে মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবং দুপক্ষই এ সিদ্ধান্তে একমত।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।