ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে মাছ-মুরগি-সবজির দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
কমেছে মাছ-মুরগি-সবজির দাম

ঢাকা: সদ্য বিদায়ী রমজানে ডিমের দাম কম থাকলেও চড়া ছিল মুরগির বাজার। বেশ কয়েক দফা বাড়ে মুরগির দাম। তবে রমজানের পর পরই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারে। সব রকমের মুরগির দাম নিম্নমুখী। কমেছে সবজির দাম। বাজারে পেঁপে আর টমেটো ছাড়া সবজির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মাছের দাম। তবে কিছুটা বাড়তি রয়েছে ছোট মাছের দাম। অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, চাল, ডাল ও তেলের দাম।

শুক্রবার (২৯ মে) রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব এলাকার বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা, পুদিনা পাতা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে।

দাম কমে প্রতিকেজি করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৩০ টাকা, ঢেরস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরলতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা- ধুন্দল-ঝিঙা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা বাড়তি রয়েছে টমেটো ও পেঁপের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি (চাল কুমড়া) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি (সবুজ) ৫০ টাকায়।  

এছাড়া প্রতিহালি কলা (আকার ভেদে) ১৫ থেকে ২৫ টাকা, প্রতিহালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিআটি (মোড়া) কচুশাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়াশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা।

..গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে মুরগির দাম। কেজিতে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিদরে। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিদরে।

প্রতিডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম ১২০, হাঁসের ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকা, কোয়েল প্রতি ১০০ পিস ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বড় মাছের দাম কমলেও বেড়েছে ছোট মাছের দাম। দাম বেড়ে এসব বাজারে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি ৫৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, দেশি টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিদরে।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, হরিণা ৩৫০ থেকে ৫৪০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২২০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

প্রতি এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত আছে মসলার বাজার। প্রতিকেজি জিরা মানভেদে (খুচরা) ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ৯৫০ থেকে ১১৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ থেকে ৪২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিদরে। প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

বাজারে খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।

বর্তমানে দাম কমে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, এক সিদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে।

প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রুনা নামে মালিবাগ কাঁচা বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এখন সবজির বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি নেই। এসময়ে দাম কমা উচিত। কিন্তু কিছু সবজির দাম কমলেও কয়েকটি বাড়তি দাম। এখনতো আর ঈদ নেই। পেঁয়াজ-রসুনের দাম কেন বাড়তি হবে প্রশ্ন করেন তিনি।

মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদেরও অনেক জিনিস আগেই কেনা আছে। নতুন জিনিস বাজারে যেগুলো আসছে তার দামও কিছুটা কম। আর সবজির বাজার সব সময় ওঠা-নামার মধ্যে থাকে। জিনিস বেশি হলে দাম কমে, জিনিস কম এলে দাম বেড়ে যায়। কাঁচামালের দাম এক থাকে না।

বোরহান নামে খিলগাঁও বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে এখন জিনিসের সরবরাহ বেড়েছে তাই দাম কমেছে। পাইকারি বাজার থেকে আমরা কম দামে এনে কম দামেই বিক্রি করছি। ওখানে দাম কমলে খুচরায় দাম কমে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।