ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গ্রামীণফোনের ৫০ হাজার পিপিই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
গ্রামীণফোনের ৫০ হাজার পিপিই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেদের ভূমিকার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্বাচিত ১২টি হাসপাতালে ৫০ হাজার মেডিক্যাল গ্রেড ফুল সেট মানসম্পন্ন পিপিই বিতরণ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন। 

করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সামনে থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সম্মুখযোদ্ধাদের নিরাপত্তার জন্য গ্রামীণফোন স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্ধারিত ১২টি হাসপাতালে ৫০ হাজার মেডিক্যাল গ্রেড মানসম্পন্ন পেশাদার পিপিই বিতরণ সম্পন্ন করেছে।

পিপিই’র প্রতি সেটে রয়েছে সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, কেএন ৯৫ মাস্ক, ল্যাটেক্স গ্লাভ ও গগলস।  

নির্বাচিত ১২টি হাসপাতাল হলো- কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, এ সঙ্কটকালীন দেশের কল্যাণে সামনে থেকে যারা করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন গ্রামীণফোন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ জানাচ্ছে। এটা কোনো সহজ  কাজ নয়। আমাদের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সঙ্গে এ মহৎ কাজটি করে যাচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস, সম্মিলতভাবে সব ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবো। এ উদ্যোগটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি উৎসাহ, সদিচ্ছা ও সাহস দিয়ে যারা আমাদের পাশে থেকেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ রকম একটি সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি গ্রামীণফোনের প্রতি কৃতজ্ঞ। এ চলমান বৈশ্বিক মহামারির সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিঃসন্দেহে গ্রামীণফোনের জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগ। আমি আশা করি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ রকম উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে করোনা আক্রান্তদের সেবাদানে নিয়োজিত ডিজিএইচএস সার্টিফায়েড ২৫ হাজার চিকিৎসককে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মাত্র এক টাকা টোকেন মূল্যের বিনিময়ে প্রতিমাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেটের সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জরুরি সহায়তায় তহবিল গঠনে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক যৌথ প্রচেষ্টায় ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ইতোমধ্যে এক লাখ পরিববারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পেীঁছে দিয়েছে এবং ব্যক্তি পর্যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্যদেরও এ উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
পিআর/আরবি/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।