ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ রোজায়ও জমেনি আতর-টুপি-তসবির বাজার

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
শেষ রোজায়ও জমেনি আতর-টুপি-তসবির বাজার

ঢাকা: প্রতিবছর ঈদে নতুন জামা-জুতা কেনা শেষ করে শেষ মুহূর্তে মানুষ ছুটে যেতেন আতর-টুপির দোকানে। দেশি-বিদেশি বাহারি সব আতর-টুপির পাশাপাশি কিনে নিতেন তসবি আর জায়নামাজ। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব হিসাব এলোমেলো করে দিয়েছে। জমেনি আতর, টুপি, তসবি আর জায়নামাজ বিক্রি।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাাকা ঘুরে দেখা যায়, মার্কেট বন্ধ থাকলেও ফুটপাতের দোকানগুলো খোলা রয়েছে।

পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের মাঝের রাস্তায় বসেছে টুপি ও জায়নামাজের দোকান।

তবে বিক্রেতারা ডাকাডাকি করলেও ক্রেতাশূন্য অবস্থাতেই কাটছে সময়।

বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে টুপি বিক্রেতা খাদেমুল ইসলাম জানান, সংসার চালাতে কষ্ট হয়, তাই দোকানটা খুলেছি। কিন্তু বিক্রি নেই। আমাদের সারা বছর যা বিক্রি হয় তার অর্ধেকের বেশি হয় এই ঈদে। কিন্তু এবার মার্কেট বন্ধ, তার ওপর মসজিদেও তেমন লোক আসে না। এমন টুকটাক বিক্রি দিয়ে তো চলে না।

আতর-টুপি-জায়নামাজ সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য ।  ছবি: ডিএইচ বাদল

একই অবস্থা রাজধানীর নিউ মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকা, মৌচাক মার্কেট, কাকরাইল মসজিদ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোডসহ বিভিন্ন এলাকার।

এসব এলাকার একাধিক টুপি-জায়নামাজ বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করতেন তারা। আর স্থায়ী দোকানগুলোতে তার সাত-আট গুণ বেশি বিক্রি হতো। এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য ১০ শতাংশও বিক্রি হয়নি।

কয়েকজন দোকানির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দোকান খোলার অনুমতি দিলে একটা আশা দেখেছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে আতর ও টুপির বড় বাজার বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা খুব হতাশ। এখানকার ফুটপাতের দোকানগুলো খুললেও বেচা-বিক্রি নেই।

তারা বলছেন, এসব হলো শৌখিন পণ্য। মানুষের কাছে অতিরিক্ত টাকা থাকলে এসব পণ্য কিনতে আসে। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবার কেউ এসব শৌখিন পণ্য কিনতে যায়নি। প্রয়োজনের তাগিদে যারা ঘর থেকে বের হয় তাদের কেউ কেউ এসব দোকানে আসে। তাতে সামান্য বেচা-বিক্রি হয়, তবে না হওয়ার পাল্লাটাই ভারি বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।