ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখনও খুচরায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ‘গরম মসলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এখনও খুচরায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ‘গরম মসলা’

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করে দেয়। তবে পাইকারি বাজারে নির্ধারিত মূল্যে গরম মসলা বিক্রি হলেও খুচরায় চড়া রয়েছে দাম। মসলাভেদে খুচরা-পাইকারিতে দামের ব্যবধান ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে, মসলা জাতীয় পণ্য আদার বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম। রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্য দু’টি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর বাজার ঘুরে এমনই তথ্য জানা যায়। এর আগে গত সপ্তাহে মসলার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্যমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।  

বেধে দেওয়া মূল্য অনুযায়ী পাইকারিতে জিরা ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি, দারুচিনি (চিন) ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) ৩৫০ টাকা থেকে ৩৭০ টাকা কেজি, লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি, এলাচ ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা কেজি, গোলমরিচ (সাদ) ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি, গোলমরিচ ৩৬০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হবে। সরকারের বেধে দেওয়া মূল্য পাইকারিতে স্থির থাকলেও খুচরায় চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে জিরা ৩৪০ থেকে ৩৪৫ টাকা, দারুচিনি (চায়না) ৩১০ থেকে ৩১৫ টাকা, ভিয়েতনাম ৩৬০ থেকে ৩৬৫ টাকা, লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, এলাচ ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মসলাভেদে খুচরা-পাইকারিতে দামের ব্যবধান ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর এলাকায় এদিন প্রতিকেজি জিরা মানভেদে (খুচরা) ৪৫০  থেকে ৫৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ৯৫০ থেকে ১১৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ থেকে ৪২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

দাম বেড়েছে রসুন ও পেঁয়াজের। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। আর অপরিবর্তিত আছে আদার বাজার। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

মালিবাগ বাজারের মসলা বিক্রেতা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, মসলার দাম পাইকার বাজারে কিছুটা কমেছে বলে শুনেছি, তবে আমরা আগের রেটে কেনা মাল বিক্রি করছি। নতুন মাল এখনও খুচরা বাজারে আসেনি, এলে দাম কমে আসবে। আর দাম কমলেতো সব জায়গাতেই কমবে, আমরাতো খুব বেশি লাভ করি না।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।