ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্রেতা টানতে বিপণিবিতানগুলোর লোভনীয় অফার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
ক্রেতা টানতে বিপণিবিতানগুলোর লোভনীয় অফার

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিপণিবিতানগুলো বেচা-বিক্রিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। তাই ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ক্রেতা টানতে বিপণিবিতানগুলোতে চলছে লোভনীয় অফার। লাভ নয় পণ্য বিক্রি করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৯ মে) রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০ ও শেওড়াপাড়া এলাকা ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে এমন তথ্য।

ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন থেকে চার মাস ধরে ব্যবসা মন্দা চলছে।

প্রচুর স্টক রয়েছে। গত পহেলা বৈশাখেও আমরা ব্যবসা করতে পারেনি। তাই লাভের কথা চিন্তা না করে অফারে পণ্য বিক্রি করছি। শুধু তাই নয়, আমাদের যারা পাইকার রয়েছেন ঈদের আগে তাদেরও টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাই সব মিলিয়ে ছাড় দিয়ে হলেও বিক্রি বাড়ানোর জন্যই এমন কৌশল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদকে সামনে রেখে তৈরি পোশাক শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, সু, বাচ্চাদের কাপড়সহ সব আইটেমের ওপরেই বিপণিবিতানজুড়ে রয়েছে অফারের ছড়াছড়ি। তারপরও বিক্রিতে সন্তুষ্টি নেই ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে কালারস মিরপুর ব্র্যাঞ্চের ম্যানেজার হিমেল বলেন, আমরা বেশ কিছু পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি পণ্যের ওপর আমাদের ছাড় রয়েছে। তবে মার্কেটজুড়েই বাচ্চাদের আইটেমের বেচাকেনা বেশি। বড়দের আইটেমের বিক্রি একেবারেই কম।

আশানুরূপ বেচাকেনা নেই। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে প্রতিটি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি বলে জানিয়েছেন মিরপুরের নান্নু মার্কেটের আল রিফাত ফ্যাশনের মালিক এম এ মাহমুদ। তিনি বলেন, আগের চেয়ে মানুষের ভিড় ও বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে বাড়লেও আশানুরূপ হচ্ছে না। গত বছরের বিক্রির ২০ শতাংশও এ বছর করতে পারিনি। আর তাই লাভ না করে বিক্রি বাড়াতে পণ্যের ওপর ছাড় দিয়েছি।

ভিড় বাড়লেও বেচাবিক্রি আমাদের হতাশ করছে বলে জানিয়েছেন মিরপুরের আরেক ব্যবসায়ী পদ শোভা জে সুজের মালিক মো. জাবেদ হাসান। তিনি বলেন, প্রতিবছর রমজানে মাসজুড়ে আমরা বেচাকেনা করে পাইকারদের বিদায় করি। কিন্তু এ বছর বিক্রি নেই, মাল রয়ে গেছে। তাদের বিদায় করবো কীভাবে এবং আমরাই বা চলবো কীভাবে বুঝতে পারছি না। তাই মুনাফার কথা চিন্তা না করে প্রতিটি সু’র ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি। এতে কিছুটা হলেও বিক্রি বেড়েছে।

এদিকে অফারে টিশার্ট কিনে খুশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জামাল হোসেন। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এসেছিলাম দু’টি শার্ট কেনার জন্য। কিন্তু অফারে দু’টির জায়গায় চারটি টিশার্ট কিনলাম। শুধু তাই নয়, একজোড়া স্যান্ডেল কিনেছি সেটিতেও ২০ শতাংশ ছাড় পেয়েছি।

অপরদিকে নানারকম ছাড় থাকলেও ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাই ক্রেতা সংকটে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।