ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

ঝালকাঠিতে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে সূর্যমুখী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২০
ঝালকাঠিতে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে সূর্যমুখী ক্ষেতজুড়ে সূর্যমুখী। ছবি: বাংলানিউজ

ঝালকাঠি: দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে বিপন্নতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বিশেষ করে নিম্নবিত্ত আর প্রান্তিক মানুষজন। অভাব, দারিদ্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় যাচ্ছে কৃষক, শ্রমিকের। এর মাঝেও ঝালকাঠিতে কৃষকের মুখে স্বস্তি আর আনন্দের হাসি ফোটাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু মুনাফা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এই ফুল চাষ ঘিরে নতুন আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা।

রাজাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় সম্প্রতি অনেক কৃষকই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর এ উপজেলায় মোট ১৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

এর অধিকাংশই এখন ঘরে তোলার উপযোগী। কিছু কিছু ক্ষেত থেকে এরই মাঝে ফলন তোলা শুরু হয়ে গেছে বলে জানায় তারা।

সূর্যমুখী চাষ নিয়ে উপজেলা সদরের পূর্ব চর রাজাপুর এলাকার কৃষক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, হাইব্রিড বীজ থেকে প্রতি একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মণ পর্যন্ত সূর্যমুখীর ফলন হয়। এ থেকে ১৫ থেকে ১৮ মণ পর্যন্ত তেল পাওয়া যায়। বীজ থেকে তেল বের করলে খৈলসহ প্রতি মণে ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। অথবা শুধু বীজ বিক্রি করলেও প্রতি মণ দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যায়। এ ফুল চাষে ভালো মুনাফা থাকে।

একই প্রসঙ্গে পূর্ব চর রাজাপুর কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল হক হাওলাদার জানান, সূর্যমুখীর কোনো কিছুই ফেলনা নয়। বীজ থেকে তেল, এরপর মাছ ও পশুখাদ্যের জন্যে খৈল, এছাড়া গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেও ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর বেশি মুনাফার আশা করছেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলায় সূর্যমুখীর চাষ বাড়ছে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিয়াজউল্লাহ বাহাদুর বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর রাজাপুরে প্রায় দ্বিগুণ সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন ও বেশি লাভ হওয়ায় উপজেলায় ধীরে ধীরে সূর্যমুখীর চাষ বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এমএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।