ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

লোকসানের মুখে নালিম চাষিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২০
লোকসানের মুখে নালিম চাষিরা

মাগুরা: লাভের আশায় এ বছর মাগুরায় ১৮২ হেক্টর জমিতে নালিম চাষ করা হয়। কিন্তু লাভের আশায় গুড়ে বালি। করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে না পারায় চরম লোকসানের মুখে নালিম চাষিরা।

নালিম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজান মাসে ইফতারির সঙ্গে নালিমের চাহিদা থাকে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির ক্রেতা না থাকার কারণে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে নালিম।

জানা যায়, এ বছর শিবরামপুর, আঠারোখাদা, পূর্ববাড়িয়ালা, ইছাখাদা এলাকায় নালিমের বাম্পার ফলন হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজার অনেকটাই মন্দা যাচ্ছে। ক্রেতা সংকটের কারণে সঠিক দাম পাচ্ছে না চাষিরা। বেড়েছে পরিবহন ব্যয়ও।

ক্ষেত থেকে নালিম তুলছেন চাষিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

হাজরাপুর গ্রামের নালিম চাষি রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে নালিম চাষ করি। ফলনও ভাল হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বাজারজাত করতে পারছি না। সঠিক সময় নালিম জমি থেকে তুলতে না পারার কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। রমজান মাসে নালিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বিক্রি করতে পারছি না।

একই গ্রামের চাষি জহির শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে নালিম চাষ করেছি। আরও অন্যের জমি থেকে নালিম কিনেছি। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে ভাল দাম পাচিছ না। বর্তমানে নালিমের দাম রয়েছে ৫-৬ টাকা করে। খরা হলে আর একটু ভাল দাম বেশি পাব বলে মনে হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, যেসব কৃষক ঢাকায় নালিম বিক্রি করতে যাবেন তাদের আমরা একটা প্রত্যায়নপত্র দিচ্ছি যাতে করে পথে কোনো সমস্যা না হয়। তবে জেলায় চলিত বছরে নালিম চাষ হয়েছে ১৮২ হেক্টর জমিতে। ফলন ভাল হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।