ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অভিযানে ৮০ টাকার পেঁয়াজ ৪৫, মিলছে না এক বস্তার বেশি চালও

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
অভিযানে ৮০ টাকার পেঁয়াজ ৪৫, মিলছে না এক বস্তার বেশি চালও

ঢাকা: মাত্র একদিন আগেও মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে সংকট দেখা দেবে ভেবে বস্তার বস্তা চালও বিক্রি হয়েছে। কিন্তু একদিন পরই এ চিত্র ভিন্ন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযানের কারণে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ন্যায্যমূল্য ৪৫ টাকা কেজি দরে। আবার দোকানদার নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন ক্রেতাকে এক বস্তার বেশি চালও দিচ্ছেন না।

যদিও ক্রেতারা বেশি করে চাল মজুদ করে রাখার জন্য দোকানে দোকানে ভিড় শুরু করেছিলেন।

শনিবার (২১ মার্চ) ওই কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ও চালের দাম কমেছে। এমনকি কোনো ক্রেতা এক বস্তার বেশি চালও কিনছেন না। আবার কেউ কিনতে চাইলেও দোকানদার দিচ্ছেন না।

নিত্যপণ্যের দাম কম হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, পাশেই চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী। মূলত এই অভিযানের কারণেই বাজারটিতে চাল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফিরেছে।

ঘুরে দেখা গেছে, মূল্য তালিকা না থাকা এবং চাল ক্রয়-বিক্রিতে ব্যাপক তারতম্য থাকায় বাজারটির মক্কা রাইস এজেন্সিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় চালের অনেক আড়তদার পালিয়েও যান মূল্য তালিকা নেই বলে। এমনকি একজন ক্রেতা এক বস্তার বেশি চাল কিনলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে অভিযানে।

এ বাজারে প্রতি কেজি বাসমতি চাল ৫৮, পোলাউ ৮১, মিনিকেট ৪৯, নাজিরশাইল ৪৯, আটাশ ৩৭, ঊনত্রিশ ৩৮, জিরা শাইল ৩৯, পাইজাম ৩৬, কাটারিভোগস ৮৪ ও নাজির কাটারি ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার পাইকারি দর ৪৫ টাকা কেজি পেঁয়াজও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম, ছবি: বাংলানিউজঅভিযানে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। মিরপুর ডুইপের গলির এক ক্রেতা নিত্যপণ্য কিনতে এসছেন মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজারে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অভিযান চলছে বলেই চাল-পেঁয়াজের দাম কমছে। অভিযান শেষে আবারও মুদি দোকানিরা দাম বাড়িয়ে দেবেন। তাই বলব, সরকারের উচিত দেশের বিশেষ সংকটে আরও অভিযান পরিচালনা করা। একটা দল যেন সবসময় বাজারে টহল দেয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানের ফলে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে বলে ক্রেতারা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা সব বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি। বেশি দামে চাল-পেঁয়াজ বিক্রি করলেই জরিমানা করছি। আমরা মুদি ও আড়তদারদের কাছে ক্রয় মূল্যের তালিকা দেখছি। ক্রয় মূল্যের চেয়ে বিক্রয় মূল বেশি হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া কোনো খুচরা ক্রেতার কাছে যেন এক বস্তার বেশি চাল বিক্রি না করা হয়, সেই বিষয়েও নির্দেশনা দিচ্ছি।

তিনি এও বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে নিত্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশে কোন পণ্যের সংকট নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ চালও মজুদ রয়েছে সরকারের কাছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।