ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পর্যাপ্ত মজুদের পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে চালের দাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
পর্যাপ্ত মজুদের পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে চালের দাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: পর্যাপ্ত মজুদের পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করে বেড়েছে চালের দাম। গত তিনদিন ধরে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়ে গেছে চালের দাম।

এদিকে, করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্রে করে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাইস মিল মালিকদের নিয়ে সদর উপজেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত মিল মালিকগণ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা ও এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

এরপরও চালের দাম অস্থিতিশীল রয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পেঁয়াজসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম।

জেলার মুদি দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

পাইকারি চাল বিক্রেতা ইনসান আলী জানান, মোটা চাল বস্তা প্রতি বেড়েছে গড়ে ৩০০ টাকা করে। ২৮ চাল বস্তা প্রতি (৮৪ কেজির বস্তা) বেড়েছে ৩৩শ টাকা থেকে একলাফে ৩৭শ’ টাকা দরে এবং মিনিকেট চালের দাম কেজি প্রতি ২৬ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকায়।

নবাব অটো রাইস মিল মালিক আকবর আলী জানান, ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাল ক্রয়ের জন্য সাময়িক এ সংকট। চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের কোনো সংকট নেয়। তিনি দাবি করে বলেন, কোনো মিলার চালের দাম বাড়াইনি। তবে আকস্মিক চাহিদার কারণে সাময়িক সরবরাহ কমে যাওয়ায় সাময়িক সংকটের কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

অন্যদিকে, জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যনিয়ন্ত্রক ও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওবাইদুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন খাদ্য গুদামে আপাতত ৩১২ মেট্রিক টন এবং সেদ্ধ ২০ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মিল ও পাইকারদের কাছেও পর্যাপ্ত চাল মজুদ রয়েছে। সুতরাং জেলায় চালের কোনো সংকট নেই।

এদিকে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে চালের আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে জেলার মিলারদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানানো হয়, ধান ও চাল মজুতদারদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.কে.এম. তাজকির-উজ জামান। এসময় সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওবায়দুল ইসলাম, হক অটো রাইস মিলের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোজাম্মেল হক, নবাব ফুড মিলসের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আকবর হোসেন, জোসনারা অটো রাইস মিলের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোখলেশুর রহমান, বাশরী অটো রাইস মিলের সামিউল হক লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.কে.এম. তাজকির-উজ জামান বলেন, করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্রে করে অযথাই চালের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। মজুদ করা যাবে না। ভোক্তাদের অতিরিক্ত চালসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অতিরিক্ত কেনা যাবে না। যারা মজুদকারী তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।