চাঁপাইনবাবগঞ্জ: বর্ধিত ঈদ বোনাস, নায্য মজুরি ও বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পানামা কর্তৃপরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনেও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বন্দরের শ্রমিক সমন্বয় কমিটি।
এ সময় স্থলবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) ইকবাল হোসেনকে বন্দরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সমম্বয় কমিটি।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা বর্ধিত ঈদ বোনাস, নায্য মজুরি ও কর্তৃপরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক নেতা কাজী এমদাদ, হারুন অর রশিদ মান্টু, মানিকুর রহমান, খাদেমুল ইসলাম, রাজেনসহ স্থানীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বন্দর পরিচালনাকারী পানামা কতৃপক্ষ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য খালাসে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কাছ থেকে টনপ্রতি আদায় করে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা অথচ বন্দর শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয় টনপ্রতি মাত্র সাড়ে ১২ টাকা।
অপরদিকে পানামার কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে মূল বেতনের এক তৃতীয়াংশ মাত্র।
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের নির্বাহীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় ২৫ টন পণ্যবাহী ট্রাক খালাসের সময় শ্রমিকদের বঞ্চিত করে কাগজপত্রে ২০ টন দেখিয়ে ৫টন পণ্য খালাসের মজুরি আত্মসাৎ করে তারা। তারা আরো অভিযোগ করেন, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের নির্বাহী।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বন্দরের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) ইকবাল হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, কোম্পানীর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের বোনাসসহ মজুরি প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, ‘শাসকদলীয় এক নেতার ইন্ধনে বন্দরের ১২টি স্পট থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১০